এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্য়তম পুরোনো মেগা ‘সোহাগ চাঁদ’। একাধিক ধারাবাহিক যখন তিন মাস যেতে না যেতেই বিদায় নিচ্ছে, সেখানে সাফল্যের সঙ্গে এক বছর অতিক্রম করে ফেলেছে কালার্স বাংলার এই মেগা। 'সোহাগ চাঁদ' সিরিয়ালের গল্𒆙পে এবার বড়সড় টুইস্ট!
সোহাগ আর চাঁদের দাম্পত্য টালমাটাল বেশ কয়েকদিন ধরেই। বিচ্ছেদের কারণ নিজেদের উকিলকেই সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পাচ্ছে না তাঁরা, বারবার পিছোচ্ছে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া। এর মাঝেই বউকে প্রথমবার চুমু খেয়ে স্বপ্নে বিভোর চাঁদ। সোহাগকে নিয়ে তাঁর ফ্যান্টাসি এবার পৌꦯঁছালো অন্য মাত্রায়। তারই হাতে গরম আপটেড এসে পৌঁছেছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছে।
সোহাগকে ‘অ্যাক্🧸সিডেন্টাল কিস’-এর পর থেকেই নতুন রং লেগেছে চাঁদের মনে। সোহাগের সঙ্গে ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানে আগুন লাগাবে চাঁদ, আর সেই ဣদৃশ্য আপনার টিভি স্ক্রিনেও কিন্তু আগুন ঝরাবে। দেখুন সেই এক্সক্লুসিভ ঝলক।
সদ্য কালার্স বাংলার এই মেগার সেনচুয়াস ডান্স সিকুয়েন্সের শ্যুটিং সারলেন ধারাবাহিকের দুই লিড তারকা অন্বেষা রায় মুখোপাধ্য়ায় এবং অভিষেক বীর শর্মা। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রোম্যান্সে বুঁদ তারকা জুটি। রবিনার মতোই🍸 হলুদ শিফন শাড়িতে উষ্ণতার পারদ চড়ালেন 'সোহাগ' অন্বেষা। যৌন আবেদনে রবিনাকে কতটা টেক্কা দিলেন অভিনেত্রী? অন্বেষা নিজের রবিনার ভক্ত। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানালেন, 'আমি তো দারুণ খুশি, যে আমি রবিনা ট্যান্ডনের আই♏কনিক ডান্স নম্বরটা পর্দায় রিক্রিয়েট করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া, আমরা সাধারণ স্ক্রিনে যাদের আইটেম নম্বর করতে দেখি তাদের একটা মার্জিত চেহারার অধিকারী, সে জায়গায় একজন প্লাস সাইজ অভিনেত্রী আইটেম নম্বর করছে! বড় পদক্ষেপ ছিল।'
পর্দায় রোম্যান্স ফুটিয়ে তুলতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না অভিনেতাদের। এই ড্রিম সিকুয়েন্সের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। অন্বেষার কথায়, ‘এই গানের শ্যুটে অনেক সেনচুয়াস মুভভেমন্ট ছিল, বোল্ড সিন ছিল যা আমি আগে কখনও করিনি। শাড়ির আঁচল খোলার একটা দৃশ্য শ্যুট করেছি। সেগুলো করতে গিয়ে অনেক কাণ্ড ঘটেছে। অনেকবার আঁচল পুরো মুখের উপর চলে এসেছে উড়ে। বৃষ্টির সিকুয়েন্স ছিল, আমি আর আমার হিরো দুজনেই ঠাণ্ডায় কাঁপছিꦫলাম। আরেকটা দৃশ্যে আমি খাটিয়ার উপর শুয়ে ছিলাম। কাট হওয়ার পর কিছু টেকনিক্যাল কারণে শট আটকে ছিল, ওদিকে বৃষ্টি পড়েই চলেছে আমার মুখে। অভিষেক হাত দিয়ে সেটা আটকাচ্ছিল।'
পর্দায় অভিষেকের সঙ্গে রোম্যান্সে বুঁদ, এই নিয়ে অন্বেষার পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া? অভিনেত্রী বললেন- ‘আমি অনেকদিন আগেই বাবা-মা’কে হারিয়েছি। পরিবার বলতে, আমার স্বামী (সন্দীপন চক্রবর্তী)। আজ আমি যেখানে রয়েছি সেটা শুধুমাত্র ও🌄র সাপোর্টে। পর্দায় আমরা যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখি অনেককিছু ভাবি, কিন্তু অভিনয়ের সময় পুরোটা টেকনিক্যালি করা হয়। কতটা জড়িয়ে ধরব, কোথায় হাতটা যাবে, কীভাবে ধরব সবটাই রিহার্সাল করা। সেটা টেকনিক্যাল প্রসেস।'
কো-স্টার অভিষেকের সঙ্গে নিজের রসায়ন নিয়েও অকপট অন্বেষা। বললেন,'আমরা খুব হাসি-মজা করে কাজটা করি। আমাদের বন্ডিংটা খুব স্ট্রং। সেই কারণেই কেমিস্ট্রিটা খুব মজবুত। আমি তো মজা করে ওকে বলি, তোর স꧟ঙ্গে আꦺমি যতটা ইনটিমেট, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে নই (হাসি)।' খানিক থেমে, ‘আমাদের তো প্রেমের সম্পর্ক নেই। স্ক্রিনে প্রেমটা তৈরি করি আমরা, সেটা একটা জাদু। অভিষেক আমাকে সেই কমফর্টটা দেয় বলেই আমার পক্ষে পসিবেল হয়েছে।’