আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পদ🌼ে পদে সমালোচিত হয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁকে নিয়ে ট্রোল শুধু সোশ্যাল𒉰 মিডিয়াতেই হয়নি। বরং, তিনি আরজি কর নির্যাততার হয়ে রাস্তায় নামলে শুনতে হয়েছে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। অবশ্য তা নিয়ে টলিউডের বহু তারকাই প্রতিবাদ করেছিলেন। একজন মেয়ের বিচার চাইতে আসা অন্য মেয়ের সম্মান রক্ষার্থে সেদিন ঋতুপর্ণাকে ‘আক্রমণ’ করা উচিত হয়নি, মত তাঁদের। তবে একদম আলাদা ভাবনা ছিল শ্রীলেখা মিত্রের। তিনি সেই ঘটনায় নেন আন্দোলকলারীদের পক্ষই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ঋতুপর্ণাকে। তাতে সহকর্মীকে চিনতেই অস্বীকার করেন তিনি। সোজা বলেন, ‘কে শ্রীলেখা? আমি চিনি না’। এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে। তাতে বাম-মনস্ক অভিনেত্রী একটু দুঃখ করেই বলেন, ‘বয়সের সঙ্গে তো অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়। ওঁর সিলেকটিভ ডিমেনশিয়া হয়েছে। আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল ওঁর প🅺্রতি।’
‘রোজভ্যালি, রেশন কাণ্ড, গৌতম কুণ্ডু যে ওর খুব কাছের একজন ছিল, এইসব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই যে ইডি, সিবিআই এত দীর্ঘ জেরা করেছে, কতবার যেতে হয়েছে! সত্তর লাখ টাকা দিতে হয়েছে, এত কিছুর পর ওর কি আমাকে মনে রাখা সম্ভব? কী করে মনে রাখবে! ওর এখন শুধু ইডি, ইনভেস্টিগেটিং অফিসারদের মুখ মনে থাকারই কথা। আমি একদম অবাক হলাম না। আমার সম্♛পূর্ণ সহানুভূতি ওঁর প্রতি জানালাম।’, নিজের বক্তব্যে আরও জুড়েছেন শ্রীলেখা।
কী বলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত:
শ্যামবাজারের থেকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শোনা ও সেদিনের সেই হেনস্থার পর-পরই ঋতুপর্ণা বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরলে, শ্রীলেখাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি 'ওয়াল'কে বলেন, ‘কে শ্রীলেখা, আমি চিনিই না। উনি কে? আমি কিচ্ছু ব꧃লতে চাই না।’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, নিজেকে ছোট করে, অন্যকে বড় করা যায় না।’
শ্যামবাজার-কাণ্ডের পর ঋতুপর্ণাকে নিয়ে শ্রীলেখার বক্তব্য:
ইন্ডাস্ট্রির আর সবার থেকে উলটো সুরই ছিল সেই সময় শ্রীলেখার। তিনি বরং প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটক করে শাঁখ বাজাতে গিয়েছিল কেন?’ সঙ্গে আরও স্পষ্ট করেꦰছিলেন যে, যাঁরা শ্যামবাজারের ঘটনায় ঋতুপর্ণার প্রত সহানুভূতি দে𒀰খিয়েছে, তাঁদের তিনি ‘সিলেকটিভ রেবেল’ বলেছিলেন।