নবান্নের বৈঠক থেকে তেমন কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত না এলেও, সোমবার অমারণ অনশনের কর্মসূচী তুলে নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং মেডিক্যাল কলেজওের তরুণী চিকিৎসকের বাবা ও মায়ের কথায় আমরণ অনশন তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে অনেকেই ডাক্তারদের সোমবারের বৈঠক ও আচমকা অনশন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যাতে রয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও।
তিনি মঙ্গলবার সকালে আসেন ফেসবুক লাইভে। সেখানে বাম-মনস্ক অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই যে আন্দোলনের রূপটা নিল, তাতে আমার মতো কিছু মানুষ আহত হলেন, হতাশ হলেন। এই আন্দোলন তো শুধুমাত্র ডাক্তারদের আন্দোলন নয়। হ্যাঁ যেই মেয়েটি গেছে সে ডাক্তার। কিন্তু গতকালের মিটিংয়ে অভয়া বা তিলোত্তমা, তার কথ✅াটা অনুচ𒊎্চারিত থেকে গেল।’
‘আমরা সবাই ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ভুল ত্রুটি নিয়ে হাসি, মিমস বানাই। তাতে ওঁর কিছু যায় আসে না। উনি খুব ভালো রাজনীতিবিদ। জানতℱেন কখন হস্তক্ষেপ করলে বিষয়টা জোড়ালো হবে না। তাই উনি ৩-৪ নম্বর দিনে হস্তক্ষেপ করেননি, করেছেন ১৫ নম্বর দিনে এসে। যখন হয়তো তাঁরা ক্লান্ত। তাঁরাও হয়তো একটা পথ খুঁজছে, এই এন্ডলেস স্ট্রাগলকে শেষ করার। আমার এটাই সকলকে বলার, হতাশ হবেন না।’, নিজের বক্তব্যে আরও যোগ করেন শ্রীলেখা।
সোমবার অনশন ভেঙে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার যে সর্বাত্মক স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বল⭕ে নিশ্চিত করেন। সঙ্গে, আগামী শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গণ কনভেনশনের ডাকও দিয়েছেন।
এই লাইভের শুরুতেই শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, ‘অনেকে আমাকে আজকাল জিজ্ঞাসা করে, আপনাকে কবে সিনেমা সিরিয়াল বা ওটিটিতে দেখতে পারব। আগে বলতেন, আপনার মিরাক্কেল দেখেছি খুব ভালো লেগেছে। ওই সিনেমা দেখে খুব ভালো লেগেছে। আজকাল যারা আমার পোস্ট ফলো করেন, তাঁরা বলেন এভাবেই প্রতিবাদে থাকবেন বা আপনার পোস্টগুলো খুব ভালো লাগে। আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতির একটা ওতোপ্রতো সম্পর্ক আছে। তাই আমি যখন উচিত কথা বলি, অনেকের ভালো লাগে না। কারণ উচিত কথা সুমধুর হয় না। আমি তো মানুষের মন রেখে চলতে পারি না। ওই তোমার সামনে তুমি যেটা পছন্দ করো, সেটা বলব। আমি পিপল প্লিজার নই, আমি সেই আর্টটাও জানি না। তাই আমি কাজ পাব এটা তো স্বাভাবিকই। আমি জানি না এমপাওয়ারড উওম্যান কাকে বলে। আমি নিজেকে ফেমিনিস্ট হওয়ার আগেও হিউম্যানিস্ট। যারা༺ মহলা হওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু চালু কথা বলেন, যেগুলোতে হেডলাইন হয়। তাঁরা ওই মেশিনারিটাকেও কাজে লাগান।’
'