চলতি বছরের গোড়ার দিকেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। তবে বিয়েটা তো উপলক্ষ্য মাত্র। বিয়ের বহু আগে থেকেই একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। নিজেদের প্রেম নিয়ে কখনওই লুকোছাপা করেন না, বরাবরই খোলামেলা কথা বলে এসেছেন টলিপাড়ার ꧅এই দম্পতি🅰।
বিশেষ করে ভালো সময় হোক কিংবা খারাপ, শ্রীময়ী সবসময়ই স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর শারদ উৎসব শুরুর প্রাক্কালে আরও একবার প্✱রেমে গদগদ হয়ে স্বামী কাঞ্চনকে ভালোবাসা জানালেন শ্রীময়ী। সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিতে স্বামীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে শ্রীময়ী লিখলেন, ‘আমার মন খারাপ থাকলে আমি তোমাকে চাই, আমার মন ভালো থাকলেও আমি তোমাকে চাই। আমার মেজাজ খারাপ থাকলেও আমি তোমাকে চাই, আমার মেজাজ ভালো থাকলেও আমি তোমাকে চাই। আমি রাগের পরেও তোমাকে চাই, আমি যখন খুশি তখনও তোমাকেই চাই... কারণ, তুমিই আমার সবসময়ের সঙ্গী…।’ নিজের এই লেখার সঙ্গে ভালোবাসার ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন শ্রীময়ী।
নিজের এই লেখার সঙ্গে শ্রীময়ী যে ছবিটি পোস্ট করেছেন তাতে অভিনেত্রীকে একটি꧂ গোলাপী ফ্রকে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে কাঞ্চন মল্লিককে নীল জিন্সের সঙ্গে সাদা টি-শার্টে দেখা যাচ্ছে।
বলাই বাহুল্য বিয়ের পর এটাই হতে চলেছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রথম পুজো। তাই এবার যে পুজো নিয়ে নানান পরিকল্পনা থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি সেবিষয়েই এক স🐽াক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেন, তাঁর বাপেꦰর বাড়ির কাছে একাধিক পুজো হয় সেখানে যাবেন। এছাড়াও কাশীবোস লেন, নলীন সরকার স্ট্রিট, বাগবাজার তো আছেই। সঙ্গে তাঁর এক ভাশুরের কমপ্লেক্সেও পুজো হয় সেখানেও গিয়ে আড্ডা দেবেন। পুজোর মধ্যেই একটা দিন পুরনো স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনাও করে রেখেছেন কাঞ্চন পত্নী।
আর বরের সঙ্গে বেরোবেন না? এই বিষয়ে শ্রীময়ী এই সময়কে দেওয়া একট সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন🅰, 'না কত্তামশাই রোজ সঙ্গে থাকবে না। ও নিজের পাড়ার পুজোয় যায়।' তবে যেহেতু এটা বিয়ের পর প্রথম পুজোয। তাই এবার শ্রীময়ীর আগ্রহ যেটাতে সব থেকে বেশি তা হল সিঁদুরখেলা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, 'প্রতি বছর যাই। কিন্তু সিঁদুর খেলা হয় না। এবার মাকে সিঁদুর পরাব। খেলতেও পারব। তারই অপেক্ষা করছি।'
আর খাওয়া দাওয়া? শ্রীময়ী বলেন তাঁর মা একদিন তাঁদের নিমন্ত্রণ করেছেন। তাছাড়া পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বের হয়ে রাস্তার দোকান থেকেই ফুচকা, বিরিয়ানি খেতে তিনি ভালোবাসেন। অন্যদিকে কাঞ্চন আবার বাঙালি খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই এবার পুজোয় সবটা মিলিয়ে মিশিয়েই করবেন। এবার তাঁরা অঞ্জলি দেবেন কাঞ্চনের পুরোনো পাড়ায় অর্থাৎ কালীঘাটে। ভোর ভোর গিয়ে অঞ্জলি দেবেন বলেই ঠিক করে র🌞েখেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীময়ী।