আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুন হোক কিংবা কুলতুলির ফুটফুটে শিশুর দেহটা ছিন্নভিন্ন করে তাঁকে খুন ও ধর্ষণের মামলা- বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেন শ্রীজাত। তাঁর লেখা কবিতা নিয়েও মতামতের শেষ নেই। হাতে সোশ্যাল মিডিಌয়া থাকার দৌলতে এখন সবাই সমালোচক। হালে শ্রীজাতর লেখা 'মুশতাক হুসেনের দরবারি' নিয়ে সোশ্যালে সমালোচনা চলছে।
সেই ট্রোলিং-এর জবাবেই এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই গর্জে উঠলেন কবি-পরিচালক। তিনি জানান, 'মুশতাক হুসেনের দরবার♍ি' প্রকাশিত হয়েছিল আট বছর আগে। তাঁর লেখা কবিতারা আদৌ কবিতা কিনা, সে নিয়ে তরজা বহুদিনে, যা এখন ট্রোলিং-এর পর্যায়ে চলে গেছে।
কটাক্ষ নিয়ে মাথা ঘামাতে না-রাজ শ্রীজাত। তিনি লেখেন, ‘তাতে আমার কিছুই যায় আসে না…. বিকৃত সময়েও শিল্পের প্রকাশ হতে হবে সুললিত — এমনটা যাঁরা মনে করেন, তাঁদের শিল্পবোধকে খুব একটা তোয়াক্কা করার প্রয়োজন দেখি না। কেন না এই বোকার তত্ত্ব মেনে নিলে পিকাসো থেকে সোমনাথ হোর, পাসোলিনি থেকে মৃণাল সেন, নেরুদা থেকে নবারুণ, সকলকেই ফেলে দিতে হয়। আমি ত💙ো কোন ছার’।
শ্রীজাতর সংযোজন, 'তাই এই লেখাটি আবার এখানে রাখলাম। যতবার এমনটা ♚ঘটবে, ততবার রাখব। এবং বেশ করব। সময় ছাড়া কারও প্রতি শিল্পের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত আক্রমণকারীদꦅের প্রতি তো নয়ই। এ-লেখা নিয়েও নোংরা খেলায় মাততে পারেন চাইলে, সে যার যার রুচি ও শিক্ষার পরিচয়। আমার পরিচয় এটাই যে, আমি সমকালের কথা বলব, তার সামনে আয়না ধরব বারবার।
আর হ্যাঁ, ট্রোল করার সময়ে মনে 🍒রাখবেন, এটা আমার প্রোফাইল মাত্র। আমি নই। আপনার যে-কোনও কথা আমার কমেন্ট বক্স ไঅবধি পৌঁছয় কেবল। আমাকে ছুঁতে পারে না'।
এরপর নিন্দকদের মুখে ঝামা ঘষে সমসমায়িক ঘটনার প্রেক্ষিতে আগুন ঝরানো কলমে তিনি লিখলেন, ‘কামড়ানোর সময় পিজ্জা ভাববে। ভাববে থিক ক্রাস্ট, ভেতরে নরম অনায়াস চিজ ভরে দেওয়া। টেনে ছেঁড়ার সময়ে ভাববে সদ্য 💮উনুন থেকে নামানো তন্দুরি। ওপরে হালকা মাখন মাখিয়ে দেওয়া, একপাশে আচার আর পেঁয়াজ রাখাই আছে। চিবনোর সময়ে ভাববে চকোবার। বাইরেটা ভঙ্গুর, ভ😼েতরটা গলে যাবে বলে জাস্ট অপেক্ষা করছে। মুখে ভরে নিলে ঠোঁটের কোনা দিয়ে আদুরে হয়ে গড়িয়েও পড়তে পারে। গেলার সময়ে ভাববে স্কচ। কী আরাম কী আরাম। একটু হালকা চিনচিন জ্বালা আর সেই জ্বালার জন্যেই না এতকিছু। এইসব ভাববে। ঠিক যেমনটি বলে দিলাম। দেখবে, বাচ্চা মেয়েদের ধর্ষণ করে মেরে ফেলতে ভাল লাগবে কীরকম’!
আরও পড়ুন-‘ඣদেখ কেমন লাগে…’, RG Kar-এর সিনিয়র ডাক্তারদে🐓র গণ ইস্তফা, সমর্থন কিঞ্জল-শ্রীলেখার
শ্রীজাতর পোস্টে উপচে পড়েছে সমর্থন। সেখানে নিজের মতামত জাহির করেন অপর্ণা সেন। যাঁকে আজকাল হামেশাই ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়। তিনি জানান, ‘একেবারে ঠিক বলেছিস, শ্রীজাত! দ্যাখ না, আমাকে অনেকে বলে কেন ৩৬ চৌরঙ্গী বানাচ্ছি না আবার, কেন ঘরে বাইরে আজ বানাচ্ছি? আমারও একই উত্তর।’ ধন্যবাদ জানিয়ে, পালটা শ্রীজাত লেখেন- ‘রিনাদি, প্রথম কথা হলো এই যে, আমরা আমাদের মধ্যে আপনাকে পেয়ে প্রিভিলেজড। আর সত্যিটা হলো এই যে, আমরা আপনাক ডিজার্ভ করি 🍷না। আপনাকে নিয়ে বা আপনার কাজ নিয়ে কথা বলবার যোগ্যতা আমাদের নেই। আপনি একজীবনে যা করেছেন এবং করে চলেছে🔜ন, তার জন্য আমরা গর্বিতই হতে পারি শুধু।’