গত বছর (২০২৩) ডিসেম্বরের ঘটনা, কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ꦆে শহিদ হন ৩৩ বছর বয়সী স্কোয়াড্রন লিডার অভিমন্যু রাই। সেই শহিদ অভিমন্যুর বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণ করলেন খোদ কিং খান শাহরুখ।
শাহরুখের কেরিয়ারের শুরু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে 'ফৌজি' সিরিয়ালের হাত ধরে। আর সেই সিরিয়ালে শাহরুখের চরিত্রের নাম ছিল 'অভিমন্যু রাই'। একসময় শাহরুখের সেই সিরিয়াল দেখেই স্কোয়াড্রন লিডার অভিমন্যু রাই-এর বাবা-মা ছেলের নাম রেখেছিলেন অভিমন্যু। তবে তাঁদের সেই ছেল𒊎েই শহিদ হয়েছেন। সন্তান হারানোর থেকে বড় দুঃখ বাবা-মায়ের থেকে আর কী হতে পারে!
প্রসঙ্গত, অভিমন্য🦩ু রাই-এর বাবা অমিতাভ রাই নিজেও একজন এয়ারফোর্স আধিকারিক ছিলেন। আর তাঁর মায়ের নাম চিত্রলেখা রাই। আর তাই কিং খান শাহরুখের সঙ্গে দেখা করে সেই গল্পই করতে চেয়েছিলেন অভিমন্যু রাই-এর বাবা-মা। যে ছেলে চিরকালের মতো তাঁদের ছেড়ে গিয়েছেন।
তবে শাহরুখের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের পৌঁছনো অত সহজ নয়। অভিমন্যু রাই-এর বাবা অমিতাভ রাই শাহরুখকে একটা মেসজও পাঠিয়েছিলেন। যেখানে বলেছিলেন, তিনি ছেলের নামে একটা সংগঠন খুলতে চান। তবে সেই মেসেজ শাহরুখের কাছে পৌঁছোয় নি। আর তাই সোশ্য꧒াল মিডিয়ার সাহায্য নেন অভিমন্যু রাই-এর বাবা-মা। 'টিম সাথ' নামে একটা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, যেটি ট্রোলিং-এর বিরুদ্ধে কাজ করে। তারই হাত ধরে নিজেদের ইচ্ছা জানান অমিতাভ-চিত্রলেখা রাই। শাহরুখকে ট্যাগ করে টুইট করা হয়। শাহরুখের ফ্যানক্লাব SRK ইউনিভার্স-ও অভিমন্যু রাই-এর বাবা-মায়꧋ের পাশে দাঁড়ায়।
এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি, 'টিম সাথ' -এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকেই জানা যায়, 🔥অভিমন্যু রাই-এর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন 'বাদশা' শাহরুখ। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি ঠিকই, তবে জানা যায়, অভিমন্যুর বাবা-মা শাহরুখের সঙ্গে দেখা করে বেজায় খুশি। তাঁদের বিশ্বাস, শাহরুখে🌳র হাত ধরেই তাঁদের ছেলের গল্প ছড়িয়ে পড়বে। আর এক্ষেত্রে শাহরুখ তো বরাবরই 'দিলওয়ালা'। এভাবেই তিনি বারবার বহু মানুষের হৃদয় জিতে নেন। শাহরুখের এই পদক্ষেপে মুগ্ধ নেটপাড়ার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছিল, হায়দ্রাবাদ এয়ারফোর্স একাডেমি থেকে একটা ট্রেনার জেট নিয়ে আকাশে উড়েছিলেন অভিমন্যু রাই। এরপর হঠাৎ করেই বিমানে কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়। আর বিমানটি ভেঙে পড়ত একটা গ্রামের উপর। তবে তিন𒉰ি তা হতে দেননি। জীবনের শেষপর্যন্ত চ🥃েষ্টা করেন বিমানটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার। গ্রাম থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার পরই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
বায়ু সেনা আধিকারিক জানান, স্কোয়াড্রন লিডার অভিমন্যু রাই অভিমনꦜ্যু চাইলে জেট বিমান থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই পারতেন। তবে সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী গ্রামটি হয়ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। প্রাণ যেত বহু মানুষের। আর তাই গ্রাম থেকে দূরে একটা জায়গায় নিয়ে যান বিমানটি। আর সেখানেই ভেঙে পড়ে ওই বিমান। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মারা যান অভিমন্যু রাই।