আরিয়ান খানের কাছ থেকে মেলেনি কোনওরকম নিষিদ্ধ মাদক, তাই আদালতে জামিন পাওয়াটা বোধহয় সহজ হবে শাহরুখ পুত্রের জন্য, এমনটাই ভেবেছিল অনেকে। যদিও বুধবার বিশেষ এনডিপিএস আদালতে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার একের পর এক দাবি হয়রান করল দেশবাসীকে। এদিন কেন্দ্রী꧙য় সংস্থা জানায় আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরিয়ান খানের। বেআইনি মাদক কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত শাহরুখ পুত্র। আরিয়ানের আইনজীবীদের পালটা যুক্তি, আরিয়ানের কাছ থেকে মেলেনি কোনও ড্রাগস, তাঁর কাছে মাদক কেনার মতো টাকাও ছিল না শুধু তাই নয়, ক্রুজে উপস্থিতই ছিল না সে। কারণ ক্রুজে ঢোকবার মুখেই আরিয়ান ও আরবাজ মার্চেন্টকে আটক করে এনসিবি। নিষিদ্ধ মাদক থাকার কথা স্বীকার করে নেয় আরবাজ মার্চেন্ট।
ক্রুজ ড্রাগ ℱকাণ্ডের এক নম্বর অভিযুক্ত আরিয়ান খানের কাছে ড্রাগ মেলেনি, এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় ডিফেন্স ছিল এতোদিন। কিন্তু বুধবার আরিয়ানের জামিনের আর্জির জবাবে এনসিবি আদালতকে যা জানিয়েছে তা চমকে দেওয়ার মতো। এনসিবির অভিযোগ, মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খান ড্রাগস পাচারের সঙ্গে যুক্ত। আন্তর্জাতিক ড্রাগ ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে এমন বিদেশি মাদকচক্রীর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আরিয়ান খান। আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপের ডেটা ঘেঁটে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে এক বিদেশির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ ড্রাগসের লেনদেনের আলোচনা করেছেন আরিয়ান। এর জেরেই আরিয়ানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও যোগ হবে, শুধু মাদক সেবনের মতো হালকা অভিযোগ নয়। এই ধারায় (এনডিপিএস আইনের ২৯ নম্বর ধারা) অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তের।
আরিয়ান খানের আইনজীবী অমিত দেশাই এদিন আদালতে স্পষ্ট বলেন, আরিয়ানের কাছ থেকে ড্রাগস উদ্ধার হয়নি,ড্রাগস কেনার মতো টাকাও মেলেনি। আন্তর্জাতিক ড্𒐪রাগ ট্রাফিকিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবার বিষয়টি এক্কেবারে অপ্রাসঙ্গিক এবং মিথ্যা, বলে দাবি তাঁর। গত ২রা অক্টোবর গোয়াগামী ক্রুজ থেকে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খানকে। ছেলের গ্রেফতারির পর 🌊প্রায় দু-সপ্তাহ হতে চলল, এই বিতর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি শাহরুখ-গৌরী।