গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে একটি খবর। এর পিছনে রয়েছে একটি বিজ্ঞাপনের ভূমিকা। বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে, কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত এক অধ্যায়ে💞র সমাপ্তি ঘটছে।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে, শত বছরের পুরনো সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্টেটসম্যান’-এর বাড়িটি একটি ‘টেক মল’-এ পরিণত হতে চলেছে। ধর্মতলা চত্বরের এই স্টেট✨সম্যান হাউজের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে আছে কলকাতার ইতিহাস, তেমনই এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশের নানাবিধ ঘটনা। কখনও স্বাধীনতা আন্দোলন, কখনও দেশের ইমার্জেন্সি, কখনও বা রাজনৈতিক টানাপোড়নের নানা মূহূর্ত। প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এই বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের বাড়িটি ‘টেক মল’-এ রূপান্তরিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বহু মানুষ সোশ্যাল মি𒀰ডিয়ায় নিজেদের দুঃখের কথা, স্মৃতির কথা ব্যক্ত করতে শুরু করেছেন। কীভাবে শুধুমাত্র একটি সংবাদমাধ্যম নয়, বাঙালিদের ‘সাহিত্যগুণ সমৃদ্ধ’ ইং♓রেজি শেখার মাধ্যমও হয়ে উঠেছিল এই খবেরর কাগজ, সে কথাও বলেছেন অনেকে। তারই মধ্যে অঞ্জন দত্তের পোস্টটি আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অঞ্জন দত্ত লিখেছেন, এই স্টেটসম্যা💦ন থেকেই পেশাগত জীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। যখন তাঁর নাটকের কেরিয়ার বিশেষ এগোচ্ছিল না, তখন কীভাবে খবরের জগতে চাকরি করতে ঢুকে পড়েন তিনি, এখানে তিনি কীভাবে শিখেছিলেন সংবাদ লিখতে, কীভাবে তাঁকে শেখানো হয় শব্দচয়ন কৌশল— তা লিখেছেন অভিনেতা-সঙ্গীতশিল্পী।
তবে দীর্ঘ লেখাটির মধ্যে সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে শেষ দিকের কয়েকটি কথা। অঞ্জন সেখানে লিখেছেন, ‘কাজের জায়গা সেটি, যা একজন শুধমাত্র কাজটি করতে শেখায় না। কাজের জায়গা সেটিই, যা শেখাꦆয় জীবনে কী কাজ করা উচিত।’ যে স্টেটসম্যান এক সময়ে তাঁকে🌳 সংবাদের জগতে কাজ করতে শিখিয়েছিল, কীভাবে সেই স্টেটসম্যানই তাঁকে ঠেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল শিল্পমাধ্যমের কাছে, সে কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শেষে বলেছেন, ‘এই লেখাটিকে যদি শোকবার্তা (ওবিচুয়ারি)♊ বলতাম, আরও নিখুঁত হত’।