দেখতে দেখতে চলে এলো বাঙালীর সেরা উত্সব দুর্গাপুজো। আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে পিতৃপক্ষ। শুরু হবে দেবীপক্ষের। তবে এই বছরের পুজো অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু হলেও আলাদা। আর জি কাণ্ডের বিভত্সতার ছাপ পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব সবার উপরেই। কিছু দিন আগ♚েই অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক জানিয়েছিলেন এ বছর তাঁদের বাড়ির পুজো শতবর্ষে পা দিলেও অন্যান্য বারের মতো সেই জাঁকজমক, আড়ম্বর থাকবে না, খোলা হবে না সর্বসাধারণের জন্য। এবার প🐼ুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জানালেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। প্রতি বছরই নিজের বাড়িতে ধুমধাম করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং স্ত্রী সুদীপা।কিন্তু এই বছর আনন্দে ভাঁটা পড়েছে। কেন জানেন?
আরও পড়ুন: (কাজের ফাঁকে ফাঁকে ൲সেক্স করুন, দেশবাসীকে অভিনব পরামর্শ পু🔜তিনের)
চলতি বছরেই মা কে হরিয়েছেন সুদীপা। মায়ের চলে যাওয়ার দু:খ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না কিছুতেই। প্রতিবছর পুজোতে মায়ের সঙ্গে কীভাবে কাটাতেন তা বারবার মনে পড়ছে সুদীপার। স্মৃতির পাতায় উঁকি দিয়ে তিনি বলেন, মা যে প্রতি বছর হাতে একটু টাকা দিয়ে বলতেন কিছু কিনিস। সেগুলো খুব মনে পড়ছে তাঁর। প্রথম বার মা-বাবা ছাড়া পুজো। তাই তি💧নি ঠিক করেছেন কিছু কিছু বিষয় বন্ধ রাখবেন। পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি হবে না ঠিকই তবে হইহুল্লোড়টা এ বছর একটু কমানোর চেষ্টা করছেন সুদীপা।
সুদীপা আরও বলেন, নবমীর পুজোর পরে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয় কিন্তু এ বছর সেটা বন্ধ থাকবে। অষ্টমীর রাতে গান বাজনারও আয়োজন করা হয়। সেটা তাঁর মা খুব ভালবাসতেন। তাই এই বছর আর সেটাও হবে না। উদযাপনে ঠিক মন নেই তাঁর। এর সঙ্গে তিলোত্তমার ঘট🌱নাকেও তুলে ধরেন সুদীপা। তাঁর মতে,🐼 তিলোত্তমাও পুজো করতেন। তাঁর পুজোও এ বছর তিন না চার বছরে পা দিত। সেখানে সেই মানুষটাই আজ নেই, তাই পুজোর উদযাপন করতে বাঁধছে তাঁর। নিয়মাফিক মাতৃদেবীর আরাধনা হলেও আনন্দ, খাওয়া দাওয়াকে এই বছর রাখছেন না সুদীপা।
আরও পড়ুন: (গর্ভাবস্থায় নিয়মিত এই কা༒জ করতেন দীপিকা, কী সুবিধা হয় এতে? জানালেন প্রশিক্ষক)
সুদীপা নিজের ইউဣটিউব চ্যানেল খুলেছেন খুব বেশিদিন হয়নি।‘রান্নাঘর’ থেকে বেরিয়ে এবার সেখানেই নিজের রান্নার শো সঞ্চালনা করছেন। দর্শকের কাছে যথেষ্ট মন জিতেছেন সেখানেও।