Sudipa ♔Chatterjee On Swiggy Controversy: সুইগি-র ডেলিভারি বয়দের নিয়ে বেফাঁস কথা বলে বেজায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী ও ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। গত সপ্তাহ থেকেই ক্রমাগত বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশ করলেন বড় একটা বিবৃতি। যেখানে প্রকাশ্যেই ক্ষমা চাইতে দেখা গেল তাঁকে। তবে তাতেও ‘অহংকারের সুর’ স্পষ্ট। যা আরও চটাল নেট-নাগরিকদের।
সুদীপা রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে লেখেন-
‘আমার বন্ধু, অনুরাগী, মিডিয়ার বন্ধুদের জন্য
আপনাদের সকলকে বলতে চাই যে সুইগি নিয়ে বলা কথাগুলো খুব সাধারণ কথা ছিল কোম্পানির পলিসি নিয়ে। কোনওভাবেই কোনও ডেলিভারি এক্সিকিউটিভকে অসম্মান করার জন্য নয়।
সুইগিতে একটা অপশন আছে নট কলিং, তাও ওদের এক্সিকিউটিভরা ফোন করে সামান্য কারণে। যেটা অনেকের জন্যই খুব বিরক্তিকর, আরও তুমি যদি তারকা হও তো।
ওদের অ্যাপেও তো কোথাও লেখা নেই তোমাকে দরজা খুলে অর্ডার হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি যা লিখছি তার মধ্যে কোথাও তো ডেলিভারি বয়ের কথা বলা হয়নি, প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করা হয়েছে।
তাহলে ডেলিভারি দিতে আসা গরীব মানুষটাকে অপমান করার কথা উঠছে কীভাবে!
আমি আপনাদের বলছি কেন এসব কথা হচ্ছে। নিজেদের জীবনের হতাশা নিয়ে যে ক্ষোভ আপনাদের মনে রয়েছে সেগুলো ফ্রাস্ট্রেশন হয়ে বেরোচ্ছে। যার ফল হচ্ছে কথার মানে না বুঝেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে খাওয়াখায়ি শুরু করা। না বুঝেই একটা মতামত তৈরি করে একটা মানুষকে অপমান করতে শুরু করে দেওয়া। আর এটা করে আপনাদের কী যে শান্তি মেলে! এটা হয়তো আপনাকে সস্তা ২ মিনিটের পাবলিসিটি দেয়, তবে ভিতরের আসল মানুষটাকেও বের করে আনে, লালনপালনকেও।
আশা করি নিজের কথাটা সবাইকে বোঝাতে পারলাম।
আমি যদি কাউকে আঘাত করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এটা আমার লক্ষ্য ছিল না।
সবাইকে দুর্গা পুজোর অনেক শুভেচ্ছা। গোটা বছর ভালো কাটুক।
মা আসছেন। সুতরাং আসুন আমাদের মধ্যেকার সব খারাপ নষ্ট করে শান্তিতে থাকি।’
তবে⭕ সুদীপার এহেন পোস্টে ক্ষমা চাওয়ার থেকে ‘উদ্ধত’ ব্যবহারই আরও বেশি করে নজরে পড়ছে নেটপাড়ার। তাঁদের দাবি এই লেখার ছত্রে ছত্রে ফুটে ওঠেছে অহংকার। একজন কমেন্ট করেছেন, ‘বু𒈔দ্ধিমান হওয়া খুব ভালো কিন্তু উদ্ধত হওয়া নয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন লিখবেন তখন বুঝে লিখুন।’ অপরজন লিখলেন, ‘এখনও অহংকার’! সঙ্গে কেউ আবার মনে করছেন পুজোর আগে শাড়ি-জামার ব্যবসায় যাতে ক্ষতি না হয় তাই নাটক করতে এসব ক্ষমা চাওয়া। বোঝাই যাচ্ছে সুদীপার করা সুইগি নিয়ে মন্তব্য এখনই ভুলতে রাজি নয় কেউই।
সুইগির উদ্দেশে যা লিখেছিলেন সুদীপা:
‘আমি শুধু জানতে চাই সুইগির একজন ডেলিভারি 🌄বয়-ও কেন ফোন না করে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। আর ফোন করে কেন বলে, আমি আসছি, আপনি গেটটা খুলুন। আমি কি দারোয়ান নাকি যে গেট খুলব’, পোস্ট করেছিলেন সুদীপা ফেসবুকে। কিন্তু অবস্থা♏ বেগতিক হতেই নিজের পোস্ট মুছে ফেলেন তিনি।