‘উৎসবে ফিরুন’, বহু আগেই রাজ্যবাসীর কাছে এই আহ্বানই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আরজি কর কাণ্ডের মতো এতবড় ঘটনার পর এমন 👍ডাক মোটেও ভালোভাবে গ্রহণ করেননি কলকাতা শহর তথা এরাজ্যের বহু মানুষ।
এদিকে মহালয়ার পর ইতিমধ্যেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। বহু মণ্ডপেরই উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু মণ্ডপে ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল নামতেও শুরু করেছে। আবার কিছু মানুষ উৎসব বিমুখ হয়ে এখনও প্রতিবাদেই থাকতে চান। কিছু লোকজন আবার প্রতিবাদ ও উৎসব দুইয়েই আছেন। এনিয়ে বিতর্ক, মত-পার্থক্য বিস্তর। 🧸রোজই সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়ে নানান পোস্ট হচ্ছে। তবে এসবেরই মাঝে নিজের পাড়ায় বালিগঞ্জ ২১ পল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো উদ্বোধন ও মণ্ডপে দাঁড়িয়ে ছবি আঁকার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন 'রান্নাঘর' খꦍ্যত সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
বালিগঞ্জ স্টেশনের স্টাইলে তৈরি হয়েছে সুদীপার পাড়ার পুজো মণ্ডপ। সেই মণ্ডপ ঘুরে ভিতরে দাঁড়িয়ে সুদীপা দেখা পেলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি তখন পুজো উদ্বোধনের পর ছোটদের অনুরোধে ছবি আঁকতে ব্যস্ত। সেই ভিডিয়োর ভয়েস ওভারে সুদীপাকে বলতে শোনা গেল, ‘আরে বাবা, খোদ মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে ছবি আঁকছেন। রং তুলি দেখে, ছোট ছোট বাচ্চাদের অনুরোধে তিনি মেতে উ🔯ঠলেন ছবি আঁকাতে। যেটা ওনার ফেভারিট কাজ।’ এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছবি আঁকছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল সুদীপা ও অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে আদিদেব-কে।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে ক্যাপশানে সুদীপার আহ🅷্বান, ‘বালিগঞ্জ ২১ পল্লির এ বছরের থিম- সংবাহক,পা🌜ন্ডেল দেখে থমকে দাঁড়াতে হবেই কিছুক্ষণ। আমার পাড়া । আমাদের পাড়া। দেরি না করে,চলে আসুন।’
এদিকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এই ভিডিয়োটির নিচে কমেন্টের বন্যা বয়েছে। এমন ভিডিয়ো নিয়ে বহু নেটিজেꦿনই সুদীপাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। একজন লিখেছেন,'আর জি কর এর ঘটনা টা কি ওনার কাছে কিছু নয়?' কেউ লিখেছেন, ‘কী অপূর্ব সুন্দর ছবি এঁকেছেন। দারুন দারুন দারুন’, কারোর মন্তব্য, ‘একটু ও মাননীয় বলা যায় না’। কারোর কথায়,🍬 ‘এদের মুখ দেখাতেও লজ্জা করে না।’ কেউ আবার সুদীপাকে 'চটি চাটা' বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েনি। কেউ সুদীপার ছেলের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘আপনার ছেলে ছবি আঁকা শিখছে…’। এমনই অজস্র মন্তব্য উঠে এসেছে।