সদ্য প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।🍨 বাংলার রাজনৈতিক জগতের বর্ণময় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁরই স্মৃতিতে আজ আচ্ছন্ন রাজনীতি থেকে বিনোদন জগত। তাঁর অন্যতম স্নেহধন্য এবং কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে ছবি পোস্ট করে স্মৃতির সরণী বয়ে হাঁটলেন রান্না ঘরের সঞ্চালিকা সুদীপা। প্রিয় ‘সুব্রতদা’কে হারিয়꧙ে তাঁদের একমাত্র স্পষ্ট ছবিটি শেয়ার করেছেন তিনি। একরাশ আবেগ ধরা পড়ল সুদীপার কলমে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সুদীপার রেস্তরাঁর এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একই ফ্রেমে দেখা যায় সুদীপা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
সুদীপার কলম🐻ে উঠে এল নানা অজানা কথা। ছবিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ট্রেডমার্ক ধবধবে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি এবং মুখে চওড়া একটা হাসিতে দেখা গেছে। ব্যুফে কাউন্টারের উদ্বোধনের একটি ছবি। রান্না ঘরের রানি জানিয়েছেন, সুব্রত নয়, বরং তাঁর স্ত্রীর কাছে বেশি আবদার রাখেন সুদীপা। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অনেকটা সম্মান করতেন তিনি। কারণ, সুদীপার বাবার নামও ছিল সুব্রত। বাবা চলে যাওয়ার পরে পিতৃসম আশ্রয় দিয়েছিলেন এই মানুষটিই জানিয়েছেন সুদীপা। তিনি লিখেছেন, ‘বাবা নেই শুনে🦩 বলেছিলেন- ‘আমি তো আছি।একদম মন খারাপ করবে না।’ কোথায় গেলেন সুব্রতদা? ধবধবে সাদা ধুতি-পান্জাবী পরে- কোথায় চললেন?'
দাদা বলে ডাকলেও সুদীপার কাছে পিতৃসম ছিলেন তিনি। স্মৃতিচারণে লিখতে গিয়ে সুদীপা আরও লেখেন, ‘ꦿআমার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্য়ায় ছাড়া, আর কেউ তাঁকে অভিনয়ে রাজি করাতে পারেননি। এ স্নেহ ছাড়া আর কিই বা হতে পারে? রাজীব গান্ধী নাকি নিজে অনুমতি দিয়েছিলেন- চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালসে অভিনয় করার জন্য’।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন অগ্নিদেবের ‘চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালস’ ধারাবাহিকে। ছোট পর্দায় সেই প্রথম সুব্রতর পা রাখা। বিপরীতে ছি▨লেন মুনমুন সেন। শেষে সুদীপা লেখেন, ‘কত স্মৃতি, কত আড্ডা, কত গল্প- সব মাথার ভেতর গুলিয়ে যাচ্ছে। চোখটা বারবার ঝাপসা হয়ে আসছে। তবু কাঁদবো না। আমার বিশ্বাস আপনি কোথাও যাননি। ভয় করলেই- পাশে পাবো’।