আরজি কর নিয়ে প্রথম থেকে সরব ছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্꧂তী। বিচার চেয়ে শুধু পথেই নামেন নি, বরং আঙুল তুলেছেন নানা অবিচারের দিকে। কখনো তাঁর নিশানায় এসেছে কলকাতা পুলিশ, তো কখনো আবার রাজ্যের শাসক দল। এমনকী, দুর্গাপুজোর আনন্দে সামিল না হয়ে, প্রায় রোজই তাঁকে দেখা যেত সেই সময় ধর্মাতলায়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ চলা ডাক্তারদের অনশনে। তবে ফেরাতে পারলেন না দেবের ডাক। বুধবার এলেন ‘টেক্কা’ দেখতে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যাচ পরেই বুধবার তাঁকে দেখা গেল মাল্টিপ্লেক্সে।
যদিও সিনেমা হলে গেলেও, প্রতিবাদ করতে ভুললেন না তিনি। রাতের দিকেই ফেসবুকে পোস্ট করেন জয়গাঁ-য় হওয়া ধর্ষণ নিয়ে। আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁয় এক ৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার খবর সামনে আসছে। সেইসঙ্গে প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। প্রায় ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল সেই নাবালিকা। বুধবার সকালে জয়গাঁরই একটি মাঠের পাশে থাকা ঝোপ থেকে সেই নাবালিকার পোড়া দেহ মেলে। এটি ধর্ষণ না গণধর্ষণ তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি জয়ℱগাঁ থানার পুলিশ।
আর এই প্রসঙ্গ টেনেই সুদীপ্তা ফেসবুকে লিখলেন, ‘জয়গাঁ!! আবার ধর্ষণ। আবার খুন।আবারো একটি ছোট্ট শিশু। লজ্জা! লজ্জা! চরম লজ্জা আমাদ🍌ের। ধিক আমাদ🦂ের সমাজ!!’
সঙ্গে তিনি নি♋জের মন্তব্যে আরও জুড়লেন, ‘সরকারে থাকা দলের মুখপাত্র বলছেন, 'দোষীরা ধরা পড়েছে।' আচ্ছা ওটা 'দোষী' হবে নাকি 'অভিযুক্ত'? নাকဣি 'কিছুই বলা যায় না' এদেরও...?’
আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই, এই দোষ🍌ী আর অভিষুক্ত টেনে, তিনি নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ঠুঁকেছেন। সোমবার নবান্নে মমতা ও জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সময় যখন এক জুনিয়র ডাক্তার ‘অভিযুক্ত’ কথাটি ব্যবহার করে, তখন আপত্তি তুলেছিলেন মমতা। তাঁর দাবি ছিল, দোষ প্রমাণিত না হওয়া অবধি অভিযুক্ত বলাটা উচিত নয়। তখন এক মহিলা ডাক্তার খুব ঠান্ডা গলাতেই বুঝিয়ে দেন, যার উপরে দোষ চাপে, তাকে অভিষুক্তই বলে। এর মধ্যে কোনো ব্যাকাไরণগত বা আইনগত ভুল নেই। আর দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত হয়ে যান দোষী।
সুদীপার পোস্টে এক নেট-নাগর꧟িক মন্তব্য করলেন, ‘না কিছুই বলা যাবে না...সরকার যা ঠিক করে দেবে তাই বলতে হবে, গণতন্ত্রের আড়ালে রাজতন্ত্র চলছে তে… ধিক্কার’। আরেকজন লেখেন, ‘যতদিন যাচ্ছে আমাদের পশ্চিমবাংলার সকল মেয়েদের ভবিষ্যৎ খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। খুব ভয় হয় খুব।’