আরজি কর আন্দোলনে প্রথম থেকেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং তাঁর দিদি। সম্প্রতি প্রতীকী অনশনেও যোগ দেন তাঁর দিদি বিদপ্তা চক্রবর্তী এবং তাঁর স্বামী বিরসা দাশগুপ্ত। আর ꦍএসবের মাঝেই এদিন আচমকা ভাইরাল হয়ে যায় অভিনেত্রীর করা দুই বছর পুরোনো একটি পোস্ট এবং তার কমেন্টের একটি 💮স্ক্রিনশট। কী বলা হয়েছে সেই পোস্টে?
আরও পড়ুন: শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট! টুকটুক🍨ে লাল চুড়িদার পরে কোমরে বেল্ট বেঁধেই প্রথম করওয়া চৌথ পালন𝕴 রকুলের
কী ঘটেছে?
২০২২ সালে কালার্স বাংলার একটি কু൲কারি শো সঞ্চালনা করতেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সেই শোয়ের প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার পর অভিনেত্রী একটি পোস্ট করেন, সেখানেই তাঁকে কটাক্ষ করে বসেন এক ব্যক্তি। তিনি তাঁর মন্তব্যে লেখেন, 'ঠিক কাজই নিয়েছেন। বাড়িওয়ালি সিনেমায় তো রান্নার কাজই করতেন। ওখান থেকেই হাতেখড়ি।'
তার জবাবে সেই সময়ই সুদীপ্তা লেখেন, 'একটু ভুল হয়ে গেল যে! বাড়িওয়ালিও সিনেমায় রান্নার কাজ করিনি, অভিনয় করেছি একটি চরিত্রে, যে অভিনয়ের জন্য সেই বছরে সারা ভারতবর্ষের সমস্ত ছবির অভিনেত্রীদের মধ্যে আমাকে সেরা নির্বাচন করা হয় এবং সেই পুরস্কার হাতে তুলে দেন ভারতবর্ষের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি। আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি অনেক আগে। সেই নিয়ে বিস্তারে আর গেলাম না। আর এই শোয়ে আমি রান্না করছি না, শো সঞ্চালনা করছি মাত্র। এবার বলি, রান্না করা অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ আর ভালো রান্না করা আরো কঠি❀ন। তাই হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে জল বের করে ফেলে এই কঠিন কাজটাকে সামান্য করে দিতে কোন অশিক্ষিত লোকই পারবে না। আপনিও না। আপনি রান্না করতে পারেন কি না জানা নেই। তবে লেখা পড়ে মনে হচ্ছে পারেন না। পারলে রান্নাকে সম্মানের চোখে দেখতেন। বাড়িতে যে বা যারা রান্না করে দেন বলে দুমুঠো খেতে পান, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।'
এদিন সুদীপ্তা চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায় আরজি কর আন্দোলনের মাঝে। অভিনেত্রীর সমর্থ𝓡নে অনেকেই পোস্ট করেন সেই স্ক্রিনশট। বলাই বাহুল্য তাঁর এভাবে স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া, প্রতিবাদী সত্তাকে তাঁর অনুরাগীরা বরাবর শ্রদ্ধা করে এসেছেন। তাই ♐এদিন এক ব্যক্তি এই স্ক্রিনশটগুলো পোস্ট করে লেখেন, 'চড় মারতে সবসময় যে গায়ের জোর লাগে তা নয়, কিছু ক্ষেত্রে চড় মারার জন্য শিক্ষাই যথেষ্ট।' তাতে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, 'সবার হাতে স্মার্টফোন আর সস্তার নেট এসে কে কাকে কি বলছে কোন বোধ নেই৷ নিজেদের আয়নাতেও দেখে না৷ নিজের কি যোগ্যতা, পড়াশুনা, অবদান তার নেই ঠিক৷ শিল্পী দেখলেই তাকে যা ইচ্ছে বলে দিয়ে খুব বড় হনু হয়ে গেলাম আর কি! করুণা হয় এদের দেখে।'