সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা। তারইমধ্যে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রয়াত অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর আইনজীবী অশোক সারেগি দাবি করলেন, সুশান্তের জীবনে রিয়া চক্রবর্তী আসার আগে💫 থেকেই মাদক সেবন করতেন অভিনেতা।
শ্রুতির আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সুশান্তের জীবনে ও (রিয়া) আসার অনেক আগে থেকেই মাদক নিতেন অভিনেতা।’ অশোক সারে𓂃গির দাবি, সুশান্তের গাড়ির প্রাক্তন চালক ও দেহরক্ষী মাদকের জোগান দিত। আর বিষয়টি নিয়ে সুশান্তের পরিবারের কিছু জানত না, সেই ভাবনাটা অসম্ভব বলে দাবি করেন সারোগি। তিনি বলেন, ‘সোহেল এবং কেশব সমন্বয় করত এবং আয়ুষ শর্মা ও আনন্দী নামে দু'জন বন্ধু কখনও কখনও সুশান্তের বাড়িতে থেকে যেতেন এবং একইসঙ্গে মাদক নিতেন। সুশান্তের বাড়ির একাধিক পার্টিতে থাকতেন তাঁর দিদি-বোনেরা। সেখানেও মাদক নেওয়া হত।🍬’
সারোগি দাবি করেছেন, কমপক্ষে এমন তিনটি পার্টিতে মাদক ব্যবহার করা হয়েছিল, যেখানে সুশান্তের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র কাছে সারোগি দাবি করেছেন, ‘মুম্বইয়ে বসবাস𝔉কারী এক বোনের মদ✅ের প্রতি আসক্ত ছিলেন। তিনি অনেক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ওই জিনিসগুলি (ড্রাগ) ব্যবহার করা হয়েছিল।’
শ্রুতির আইনজীবীর দাবি, পরিবারের সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন বোন সুশান্তের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এবং তাঁদের একসঙ্গে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৭ নভেম্বরের কাছাকাছি সময় তাঁদের মধ্যে 💎প্রবল অশান্তি হয়েছিল এবং পরদিন সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে হোটেল ললিতে গিয়ে উঠেছিলেন তিন বোন। এই ঘটনায় সুশান্ত এতটা কষ্ট পান যে ২৮ তারিখই খারের হিন্দুজা হাসপাতালে ভরতি হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় সুশান্তের এক কর্মীকে ফোন করেছিলেন অভিনেতার বাবা। জানিয়েছিলেন, তিনি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু ไসুশান্ত রাজি হননি। তিনি জানিয়েছিলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জেরেই তাঁকে হাসাপাতালে ভরতি হতে হয়েছে। বাবার সঙ্গে কথা বললে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হবে এবং ফোন ধরতে অস্বীকার করেছিলেন।'