হৃতিক-সুজানের বিয়ের মেয়াদ ছিল ১৪ বছর। ১০ বছর আগে আলাদা হন এই তারকা দম্পতি। তবে বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছেন তাঁরা। এই মর্ডান ডে ফ্রেন্ডশিপ থেকে অবশ্য অনেকেই হিঁচকি তোলেন! প্রাক্তন বউ আর বর্তমান প্রেমিকাকে নিয়ে একসঙ্গে পার্টি করেন হৃতিক, এতটাই ‘Cool’ সম্পর্ক হৃতিক-সুজানের। আরও পড়ুন-💃‘দিদি ফটাকা কী জিনিস?𒅌’ ছেলে ইউভানকে জীবনের পাঠ দিতে গিয়ে ট্রোলের শিকার শুভশ্রী
শনিবার ছিল সুজান খানের ৪৯তম জন্মদিন। আর সেই জন্মদিনের পার্টিতে একফ্রেমে পাওয়া গেল সুজানের প্রেমিক আরসালান গোনি এবং হৃতিক র🍌োশনকে। প্রাক্তন বউয়ের প্রেমিকের সঙ্গেও দারুণ সখ্যতা বলিউড নায়কের। পরস্পরকে ‘ইয়ার🍸া’ বলে সম্বোধন করেন তাঁরা।
শনিবার বার্থ ডে গার্লের দেখা মিলল কালো রঙা শর্ট পার্টি ড্রেসে। দুই ছেলে রিহান,রিদান, প্রাক্তন স্বামী হৃতিক, তাঁর প্রেমিক সাবা আজাদ এবং বয়ফ্রেন্ড আরসালানকে নিয়েই জন্মদিনের কেক কাটলেন সুজান। পার্টিতে হাজির ছ🌊িলেন তাঁর ভাই জায়েদ খান, দিদি ফারহা, জেঠুর ছেলে ফারদিন খান-সহ বলিউডের বহু পরিচিত মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজানের জন্মদিনের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে কেক কেটেই আরসালানের ঠোঁটে ঠোঁট মেলাতে দেখা গেল সুজানকে। পিছনে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন হৃতিক ও দুই ছেলে! 💙এই দৃশ্য দেখে হয়রান অনেকেই।
ভালোবেসে ২০০০ সালে বিয়ে করেছিলেন হৃতিক-সুজান। এই দম্পতি ডিসেম্বর ২০১৩-তে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত ✨নিয়েছে এবং নভেম্বর ২০১৪-তে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়েছিল। ডিভোর্সের বেশ কয়েক বছর পর কাশ্মীরের ছেলে আরসালানের প্রেমে পড়েন সুজান। হৃতিক কখনওꦍ সিঙ্গল। প্রেম নিয়ে কোনওদিনই লুকোছাপা করেননি সুজান-আরসালান।
চলতি মাসের শুরুতেই হৃতিক-সাবার সম্পর্কের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে শুভেচ্ছা জানান সুজান। এতটাই মধুর দুই প্রাক্তনের সম্পর্ক। আরসালান পেশায় অভিনেতা তথা আলি গোনির দাদা। বয়সে সুজানের চেয়ে অনেকটাই ছোট তিনি। জানা যায়, ১৯৮৬ সালে জন্ম আরসালানের। ওদিকে সুজান জন𒀰্মেছেন ১৯৭৫ সালের ২৬শে অক্টোবর। সেই সূত্রে প্রেমিকার চেয়ে ৯ বছরের ছোট আরসালান। তবে বয়সের পার্থক্য কোনওদিনই বাধা হয়নি তাঁর প্রেমে।
সুজান আর আরসালান কি সম্পর্ককে পরের ধাꦍপে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন? বিয়ে নিয়ে কী প্ল্যানিং তাঁদের? সুজানের মা, জারিন খান মাস কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁরা দুজনেই 'কেরিয়ারে ফোকাসড'। তিনি বলেন, ‘আজ যদি আপনি কারও সঙ্গে সুখ খুঁজে পান, তাহলে আপনি ভাগ্যবান। ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তা কেউ জানে না। সুখী ও স্থায়ী হতে হলে বিয়ে করতে হবে, পুরনো এই ধারণা এখন আর ঠিক নয়। নারীরা স্বাধীনচেতা, কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত, নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে চায়। আর বিয়ে এমন একটি বন্ধন, যা সবসময় আপনাকে সারাজীবনের൲ বন্ধনে আবদ্ধ রাখে না। তাই আরসলান ও সুজান একসঙ্গে সুখে আছেন এবং কেরিয়ারে মনোনিবেশ করেছেন দেখে আমি খুশি।’