পরনে ভেলভেটের স্যুট, সঙ্গে সাদা চোস্তা, গলায় মোটা একটা রজনীগন্ধাﷺর মালা, মাথায় পাগড়ি, কপালে চন্দনের টিপ। এক্কেবারে বরবেশে হাজির ছিলেন তিনি। হ্য়াঁ, বিয়ে করতেই গিয়েছি෴লেন। সেদিন, সেসময় তাঁকে ঘিরে থাকতে দেখা যাচ্ছে বহু মহিলাকে, সকলেই সেজেগুজে তখন ভীষণ ব্যস্ত।
সেটা ছিল ১৯৭৮ সালের একটা রাজকীয় বিয়ের আসর। সেই বিয়ের বর-কনে দুজনেই নামী ব্যক্তিত্ব। বꩲরটি রাজপরিবারের সন্তান, রাজপুত্র বলাই ভালো। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে বর বেশে তাঁর ছবি। 🐼দেখুন তো ইনি কে চিনতে পারেন কিনা?
চিনতে পারলেন? তাহলে একটু খোলসা করেই বলাভালো। ইনি হলেন ভরত দেব বর্মা। ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান। 𝓡সদ্য প্রয়াত মুনমুন সেনের স্বামী। সোশ্যাল 🙈মিডিয়ায় উঠে আসা এই ছবিটি মুনমুন-ভরতের বিয়ের দিনের ছবি। লেখিকা, বইপ্রেমী মৌমিতা রায়চৌধুরী নামে এক মহিলা সম্প্রতি তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভরত দেব বর্মার বিয়ের দিন বরবেশের ছবিটি পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন-সি-সেকশনের মাধ্যমে মা হয়েছেন, মেয়ের ๊জন্মের ১মাসও কাটেনি, ফের ডেট নাইটে গেলেন শ্রীময়ী
নিজের সেই পোস্টে মৌমিতা লিখেছেন, মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সুদর্শন জামাতা।কোচবিহারের বড় রাজকন্যা এবং ত্রিপুরার রাজরানি ইলাদেবী এবং ত্রিপুরারাজ রমেন্দ্র কিশোর দেববর্মার প▨ুত্র ছিলেন ভরত দেব বর্মা। জয়পুরের মহারানি, কোচবিহারের আরেক রাজকন্যা গায়ত্রীদেবী ছিলেন ভরত দেববর্মা আপন মাসী। এই জয়পুরের মহারানি গায়ত্রী দ🌠েবীই ভরত-মুনমুনের বিয়ে পাকা করতে এসেছিলেন আমাদের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। দুই অনন্যা সুন্দরী মুখোমুখি বসে মুনমুনের বিয়ে পাকা করেন। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন জয়পুরের মহারানি।'
মৌমিতা রায়চৌধুরীর পোস্ট থেকে আরও জানান যায়, ‘এই বিয়েতে কন্যাপক্ষের হয়ে যাবতীয় দায়দায়িত্ব পালন করেন সুচিত্রা🎉 সেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সঞ্জীবকুমার। একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনের বিয়েতে তাঁর ওপর পুরোপুরি নির্ভর করেছিলেন সুচিত্রা সেন। সুখেই বিবাহিত জীবন কাটিয়েছেন ভরত-মুনমুন ১৯৭৮ থেকে ২০২৪ এর দীর্ঘ সময় ধরে। ওঁদের দুই কন্যা রিয়া এবং রাইমা অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। এখন সবটাই স্মৃতি। মানুষ চলে যায় স্মৃতিটুকু থেকে যায়....’।