শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরꦺও উত্তাল বাংলাদেশ। প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষের মারা যাওয়ার মারা যাওয়ার খবর মিলছে। হিন্দু মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইসকনের মন্দির ভাঙারও খবর পাওয়া গিয়েছে। অবাধে চলছে লুঠতরাজ। নিসন্দেহে অরাজকতার পরিবেশ এখন বাংলাদেশে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফরিদপুরের ছবি শেয়ার করে প্রতিবাদ জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর ঋদ্ধি সেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে রামকৃষ্ণ মি♒শনকে বাঁচাতে কাঁধে কাঁধ দিয়ে দাঁড়িয়েছেন সে দেশের মুসলিম ভাইয়েরা। সকলে রাত জেগে দিচ্ছেন পাহারা। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ফরিদপুরে রামকৃষ্ণ মিশন রক্ষার্থে আমাদের চরকমলাপুর যুব সংঘ টিম পাহারায় রয়েছে। ইন-শা-আল্লাহ আমরা থাকতে পুরো ফরিদপুর শহরে কোন মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেব না। এছাড়া ফরিদপুর ইসকন মন্দির, সাহাপারা মন্দির, পূর্ব আলিয়াবাদ পাট💯পাশা মন্দির ও চকবাজার মন্দিরেও আমাদের ভলান্টিয়াররা রয়েছে।’
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সেই ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাগ করলেও কিছু লেখেননি। তবে ঋদ্ধি এই পোস্টের সঙ্গে নিজের তরফ থেকে দিলেন লম্বা বার্তা। লেখেন, ‘সোশাল মিডিয়া নামক পরমাণু বোমার চেয়েও ভয়ানক আবিষ্কারের মধ্যে থেকে একটা চেষ্টা করে যেতে হবে, সত্যের বদলে মিথ্যের বিস্ফꦬোরণ যাতে না ঘটে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ঘটে চলা বীভৎসতা এবং ভুলের মাঝে চেষ্টা করতেই হবে সত্যিটা এগিয়ে রাখার, কোনও দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া নাগরিক সন্ত্রাসবাদী, মৌলবাদী নন। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলো শেষ অবধি সন্ত্রাসবাদী। এই মুহূর্তের পরিস্থিতি জবাবের বদলে পালটা জবাব, ঘৃণার বিরুদ্ধে পালটা ঘৃণা, ধ্বংসের বিরুদ্ধে পালটা ধ্বংসের নয়।’
সঙ্গে নিজের বক্তব্য তিনি আরও যোগ করেন, ‘ছাত্র আর মৌলবাদীদের এক করে দেবেন না, এই সময়টা💟 সব থেকে কঠিন, যে সময় একটা সরু সুতোর ওপর হাঁটতে গিয়ে অধিকাংশই পড়ে যায় অন্ধকার ঘৃণার গহ্বরে। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার মতো লজ্জাজনক এবং ভয়ানক চিত্রের পাশাপাশি একটা অন্য দৃশ্যও চলছে, অনুরোধ করছি, সেটাকে এড়িয়ে যাবেন না। দুই দেশের মাটি, জল, হাওয়ার গতিপথ মিশে আছে, সেই রাস্তায় কোনও সাম্প্রদায়িকতা নেই, থাকতে দেবেন না, দয়া করে এই ভাবনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
একই সুর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি লিখলেন, ‘র♉াষ্ট্র যখন ছাত্রদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে, জাত-পাত-ধর্ম-ভেদাভেদ ভুলে মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে।আজ যখন দেশের হিন্দুদের ওপর আঁচ আসছে, এর মোকাবিলা ছাত্রদের করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। এর দায় আন্দোলনকারীদের নিতে হবে। সমাধানও তাঁদের আনতে হবে।’