নিউটাউনের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে এই নতুন পার্ক। এই গোটা পার্কটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্যে করে বানানো হয়েছে। হিডকো এবং এনকেডিএর উদ্যোগে এই পার্ক বানানো হচ্ছে। পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে অপুর সংসার পার্ক। এই পার্ক যেমন ছোটদের ভালো লাগবে, তেমনই মুগ্ধ করবে বড়দের। এমনটাই অভিমত উদ্যোক্তাদের। বৃদ্ধাশ্রম স্নেহদিয়ার পাশে এই পার্ক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিডকো কর্তৃপক্ষ এই পার্কের জন্য বেশ কিছুটা জমি বরাদ্দ করে রেখেছে বলেই জানা গিয়েছে। আর সেখানে💞 পার্ক তৈরি করবে এনকেডিএ।
১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বিনোদন জগতে পা রাখেন। তাঁর প্রথম ছবি হচ্ছে অপুর সংসার। এরপর অপুর সংসারের ট্রিলজি পায় গোটা বাঙালি জাতি। আর নেপথ্যে এই🎃 দুই কিংবদন্তি। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছে এনকেডিএর তরফে। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আগে সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সিটি সেন্টার টু এর কাছে তৈরি করা হয়েছে প্রফেসর শঙ্কু পার্ক। এবার পালা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অপুর সংসার পার্ক।
কী কী থাকবে এই পার্কে? এই পার্কে দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত বিভিন্ন ছবির কাট আউট, সঙ্গে থাকবে থ্রি ডি অ্যানিমেশন, স্ট্যাচু, প্রভৃতি। জানা গিয়েছে বর্তমানে জোরকদমে কাজ চলছে এই পার্কের। বছরের শেষের দিকেই উদ্বোধন করা হব🔯ে এই পার্ক।
নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ বা এনকেডিএ যে কেবল ছোটদের মনোরঞ্জ💞নের জন্য একাধিক পার্ক তৈরি করেছে এমনটা নয়। তারা বড়দের জন্যেও বেশ কয়েকটি পার্ক তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই পার্কে কী কী ব্যবস্থা আছে? শরীরচর্চা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম, হাঁটার সঙ্গে মস্তিষ্কের খিদে মেটাতে লুডো, দাবা বা আড্ডার জায়গার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ইকো পার্কের দুই এবং তিন নম্বরে গেটের মাঝামাঝি যে পেঁচার মোড় আছে সেখান থেকে একটু এগিয়ে গেলেই এই পার্ক নজর আসবে ট্যাংক ১৪ এবং ১৬র মাঝে। ইকো পার্ক, ইকো আর্বান ভিলেজে তো বটেই একই সঙ্গে এনকেডিএ তৈরি করেছে আবোল তাবোল পার্ক, প্রফেসর শঙ্কু পার্ক, সোনার কেল্লা উদ্যান, বিবেকতীর্থ পার্ক, ইত্যাদি।
এছাড়া চলতি বছরে নিউটাউন এবং সেক্টর ফাইভে দুটি পার্ক উদ্বোধন করে এনকেডিএ, নেতাজি এবং জয়হিন্দ পার্ক। নেতাজির জন্মদিনের দিন এই পার্ক দুটোকে উদ্বোধন করা হয়। এই পার্কট𓃲ি তিন একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে এখানে শিশুদের জন্য আছে খেলাধুলার জায়গা, দোলনা, বড়দের জন্য আড্ডা মারার জায়গা, ফিশিং স্পট, ইত্যাদি। এই পার্কে একটা বড় লেক আছে তার উপর ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এখানে আবার জিমের ব্যবস্থাও আছে। ফলে আপনার বয়স যাই হোক না কেন এই পার্ক আপনার ভা𒊎লো লাগবেই।
এনকেডিএর উদ্যোগে যেমন ꧂একাধিক পার্কের মাধ্যমে শহর সেজে উঠছে🌼 তেমনই নাগরিকরা সপ্তাহান্তে ঘুরতে যাওয়ার বেশ কয়েকটি নতুন ঠিকানা পাচ্ছেন।