দু-দিন ধরে নেটপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রিবন্দুতে বাম যুবনেতা শতরূপ ঘোষের বিয়ে। হাটে হাঁড়িটা প্রথম ভেঙেছিলেন উষসী চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব শতরূপের। অন্যদিকে বামনেতার স্ত্রী পহেলি সাহাও টলিউডের অন্দরের লোক। তাই এই বিয়েতে উষসীর অবস্থান অনেকটা ছিল ‘বরের ঘরের পি🥂সি, কনের ঘরের 🦂মাসি’র মতো।
রবিবার রাতে বসেছিল পহেলি-শতরূপের বিয়ের๊ আসর। সেখানে হাজির ছিলেন টলিপাড়ার বহু পরিচিত মুখ। পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। এই বিয়ের সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন খোদ বিমান বসু। বিয়ে নিয়ে নিন্দকরা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি শতরূপকে। 'কমরেড' শতরূপ কি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে বিয়ে করেছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। তাঁদের চুপ করালেন বন্ধু উষসী। প্রয়াত বামনেতা শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা সোমবার রাতে ফেসবুকে শতরূপ-পহেলির বিয়ের আসরের মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন। সঙ্গে লেখেন, ‘কাল বিয়েবাড়ি জমজমাট । অনেকেই প্রশ্ন করেছেন কি ভাবে বিয়ে হয়েছে? জানিয়ে রাখি কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াই সই করে বিয়ে হয়েছে । ওদের জীবন পরিপূর্ণ হোক’।
হ্যাঁ, কোনও মন্ত্রোচ্চারণ নয়, সাত পাক ঘোরা বা সিঁদুরদান করে নয়। কেবলমাত্র কাগজে-কলমে সই করেই নতুন জ🌃ীবন শুরু করেছেন শতরূপ ও পহেলি। উষসীর পোস্টের কমেন্ট বক্সে মন্তব্যের ঝড়। কেউ শতরূপের এই মানসকিতার প্রশংসা করেছেন, আবার অনেকেই ট্রোল করেছেন। একজন লেখেন, ‘এই করেই তো দলটা গোল্লায় গেল’। অপর একজন লেখেন, ‘কাল তো বিয়ের ডেট ছিল… তাহলে তো দিনক্ষণ মেনেই বিয়ে হয়েছে।’
তবে শতরূপের প্রশংসকের সংখ্যা নেহাত কম ন✤য়। এক জনৈক লেখেন-'আশাকরি শতরূপ কে দেখে আগামী দিনের কমরেডরা শিক্ষা নেবে, অনুপ্রাণিত হবে'। অন্য একজন লেখেন- 🐭‘কমিউনিস্ট এর বিয়ে এভাবেই হওয়া উচিত’।
উল্লেখ্য, শতরূপের স্ত্রী টলিউডের এক নামী প্রযোজনা সংস্থার জনসংযোগের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। শতরূপ এবং পহেলির প্রেম আজকের নয়। দু'জনের পথ চলাটা শুরু হয়েছিল আশুতোষ কল🐼েজ ꦇথেকে। আশুতোষ কলেজেই দু'জনের প্রথম আলাপ। যা প্রেমে গড়িয়েছে। শতরূপের মতো পহেলিও বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী।