আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের জোয়🌠ার। ৫৫ দিন অতিক্রান্ত, এখনও সুবিচারের অপেক্ষায় আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের খুন হওয়া চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা। যাঁদের কাছে দুর্গাপুꦯজোই অর্থহীন হয়ে পড়েছে তাঁদের একমাত্র মেয়েকে ছাড়া! আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে মহালয়ায় মহামিছিলের সাক্ষী থাকল কলকাতা।
একইভাবে শহরের বিভিন্নপ্রান্তে চলল প্রতিবাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানে একদল তরুণ-তরুণীকে অভ🗹িনয়ের মাধ্যমে আরজি করের নির্যাতিতার সঙജ্গে হওয়া অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে দেখা গেল। কিন্তু সেই ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্কের ঝড়। তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেত্রীরা এই ভিডিয়োকে অশ্লীল এবং ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বলে তোপ দাগেন।
২ মিনিটের ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে একদল তরুণীর। কালো প্যান্টের উপর মূলত অন্তর্বাস পরে নিজেদের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন তাঁরা। ত্রিপল বিছানো মঞ্চে তাঁদের প্রতিবাদের বার্তা দিচ্ছে যে-সব পোস্টার সেখানে আঁকা রয়েছে মা দুর্গার মুখ। সেই নিয়েই আপত্তি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রীদের। মা দুর্গার সামনে কেমনভাবে এই ‘অপসংস্কৃতি’? যেখানে শরীরের উর্ধাঙ্গে কোনওরকম প🍌োশাক না পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে পಞুরুষরা এবং নারীরা সকলেই ব্রা পরে অভিনয়ে মত্ত, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রিমি মুখোপাধ্যায়।
রিমি লেখেন, ‘ব্রডওয়ে বা স্ট্রিপ ড😼্যান্সের নাম শু🌸নেছি,দিদি মনে হয় তেমনি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পুরোটাই যে ধেরিয়েছে তা বলাই বাহুল্য!এখন বিষয় হচ্ছে এ কেমন প্রতিবাদ? বাংলার কোন সংস্কৃতির সাথে এটা যায়? মহালয়ার দিন প্রতিবাদের নামে এসব কি নোংরামো? ছিঃ!!!’
মহাไলয়ার দিনে এহেন প্রতিবাদ নিয়ে নেটপাড়াতে অনেকেই সরব হয়েছেন। ‘সবার দুর্গা তিলোত্তমা’ এই শীর্ষক প্রতিবাদ নাটক পেশ করেছে ‘কথাবার্তা’ দল। তাঁদের আদৌও কোনও রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা তা সুস্পষ্ট না হলেও এই প্রতিবাদকে ‘মাকুদের প্রতিবাদ’ বলে তোপ দেগেছেন দিদির সমর্থকরা। একজন নেটিজেন লেখেন, ‘এই বিকৃত উন্মাদরাও কি ডাক্তার নাকি? নাকি লেনিন এর ডক্টরেট?✃ দর্শক ও নেই। সোশ্যাল মিডিয়া তে পোস্ট করে বিকৃতির প্রচার চায়।’
ম♐ূলত নাটক পরিবেশনকারী তরুণীদের পোশাক নিয়েই আপত্তি অধিকাংশের। কেন এই ধরণের খোলামেলা পোশাক পরে প্রতিবাদ? আরেক জন লেখেন, ‘পেছনে মা দুর্গা..সামনে অন্তর্বাস পরিহিতা নারী এবং অর্ধনগ্ন পুরুষ। সাথে আছে কিছু অশ্লীল অভিব্যক্তি। দাবি নাকি অভয়ার বিচা💛র। এটা বিচার চাওয়ার ভঙ্গি? এতে শিল্প সংস্কৃতি কিছুই চোখে পড়ছে না। এই নোংরামোগুলো কি এড়ানো যায় না?’
সোশꦉ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যুৎ গতিতে ভাইরাল হচ্ছে এই ভিডিয়ো। শুভ বুদ্ধিসম্পন্নদের প্রশ্ন, সত্যি কি কোনও নিয়মের বেড়াজালে বাঁধা যায় প্রতিবাদের ♊ধরণকে? উঠছে সেই প্রশ্নও।