খুব কম সময়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন নন্দিনী গাঙ্গুলী। ভালো নাম যদিও মমতা। তবে আজকাল তাঁকে লোক ‘স্মার্ট দিদি’, ‘অ্যাংরি দিদি’ নামেই ♛চেনে। জিন্স-টপ পরে ফুটপাথে রান্না করছে একটি মেয়ে, দেখে ভিডিয়ো করে ইউটিউবে ছাড়েন এক কনটেন্ট ক্রিয়েটার। আর সেখান থেকেই রাতারাতি আসে জনপ্রিয়তা। ইন্টারনেট দুনিয়ার সেনসেশনে পরিনত হন। ডাক আসে দিদি নম্বর ১ থেকে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। আর এখন তো তিন সত্যি নামে একটি সিনেমার নায়িকা। যাতে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও।
সেই নন্দিনী এবার জোশ টকসের প্ল্যাটফর্মে। জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে কথা বললেন। বাবার ব্যবসা নষ্ট থেকে, ফুটপাথে দোকান চালানোর কারণ, সবܫই উঠে এল কথায়।
বললেন, ‘যখন লকডাউন তখন আমি ছিলাম গুজরাটে। করছিলাম শেফের কাজ। বাবা হঠাৎ ফোন করে বলল, তোমার মা ভীষণ অসুস্থ। আমি ফিরে এলাম কলকাতায়। এসে শুরু করলাম এই পাইস হোটেলে ক⛦াজ করা। এখানে যোগ দেওয়ার সময় আঁতকে উঠেছিলাম আমিও প্রথমটায়। যেমন তোমরা দেখেছ, একটা স্মার্ট মেয়ে. টি শার্ট পরা জিন্স পরা, এত সুন্দর দেখতে, শুধুই কি নাম কেনার জন্য পাইস হোটেল চালাচ্ছে?’
নন্দিনীর কথায়, ‘বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এই ব্যবসায় যোগ দেওয়া। বাবার ব্যবসা চালানো তো সব ছেলেমেয়েরই ক♉র্তব্য। আমার বাবা এটা শুরু করেছিল লকডাউনের ঠিক আগে। আমার বাবার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায় নোটবন্দির সময়। যে মেয়েটা দুই মেয়েকে ইঞ্জিনিয়র বানিয়েছে, আমাকে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়িয়েছে, সেই ব🉐াবা রুটির দোকানেও কাজ করে। তারপর একজনের থেকে ভাড় নিয়ে শুরু করে পাইস হোটেল।’
নন্দিনী তাঁদের কটাক্ষ ক🅷রেন যারা তাঁকে ‘হিজড়া’ বলে বা তাঁর ভিডিয়ো ‘18+’ ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করে। বা তাঁর টাইট ফিটিং পোশাক নিয়ে করে ট্রোল। নন্দিনীর কথায়, ‘আমিও🍸 মাঝে মাঝে রোস্ট দেখি। হাসি। কেউ খারাপ বললে বলবে, কথাতেই তো আছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। আর আমাকে যারা হিজড়ে বলে কটাক্ষ করো, তারা বলো তো ভাই, হিজড়েরা কি মানুষ নয়? তোমাদের মানসিকতা দেখলে আমাদের খারাপ লাগে।’