বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক অভিযোগ, পারস্পরিক ঘাত প্রত্যাঘাতে বিপর্যস্ত বলিউড। নেপোটিজমর রমরমা থেকে ড্রাফ মাফিয়াদের দৌরাত্ম , একাধিক অপবাদে রীতিমতো চাপানউতোর অব্যাহত ইন্ডাস্ট্রিতে । এই আবহেই এবার বলি পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ দাবি করলেন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি বিষাক্ত কর্মসংসꩵ্কৃতি তৈরী করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে । অভ্যন্তরীণ-বহিরাগত বিভাজন সৃষ্টির রমরমা তৈরী করে , কিছু ‘স্বার্থান্বেষী’ ব্যক্তি ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছেন । তিনি বিশ্বাস করেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বদাই একে অপরের পাশে থেকে সাহায্য করার রেওয়াজ না থাকলে কোনও তারকা পরিবারের সন্তান না হয়েও তাঁর পক্ষে মুম্বইতে সফলতা অর্জন করা 🍸সম্ভব হতো না ।
সুꦓশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের ইনসাইডার বনাম আউটসাইডার বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। একাধিক মহল থেকে অভিযোগ এসেছে কিছু প্রভাবশালীর অঙ্গুলি হেলনেই নিয়ন্ত্রিত হয় ইন্ডাস্ট্রি । বর্তমানে এনসিবির তদন্তে উঠে আসছে বিনোদন দুনিয়ার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে থাকা ড্রাগ চক্রের হদিস । যা থেকে স্তম্ভিত দেশবাসী। এতদিন লুকোছাপা দিয়ে চলত যে ড্রাগ পার্টি এখন তা ওপেন সিক্রেট বলছেন নেটিজনেরা।
যদিও শুক্রবার , স্ক্রিন রাইটার অ্যাশোশিয়েশন অ্যাওয়ার্ডের এক ভার্চুয়াল𝔉 প্রেস কনফারেন্সে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রশ্নের জবাবে 💮যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ‘হায়দার’ পরিচালক । তাঁর মতে, বলি ইন্ডাস্ট্রি একটা পরিবারের মতোই যেখানে সবাই মিলে মিশে কাজ করেন , কোনও বহিরাগত তত্ত্বের কোনও অস্তিত্ব এখানে নেই । এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের উদাহরণ টানেন। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা বিশাল দাবি করেন অন্য কোনও পেশায় কিছুটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কয়েকবার তৈরি হলেও এখানে কোনোদিনই এই কারণে কোনও সমস্যায় তাঁকে পড়তে হয়নি ।পুরো ব্যাপারটাই পূর্ব পরিকল্পিত দাবি করে , যে বা যাঁরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই ক্রমাগত বলিউডের গায়ে কালি ছেটাচ্ছেন , তাঁদের বিরত থাকতে বারংবার অনুরোধ করেন মকবুল খ্যাত পরিচালক ।
' আমি আশাবাদী সিনেমাহল খুলে গ❀েলে এই সমস্যা খানিকটা প্রশমিত হবে । কারণ আজ যাঁরা আমাদের নামে গালি দিচ্ছেন , তাঁরাই তখন টিকিট কেটে আমাদের ছবি দেখতে আসবেন । প্রার্থনা করি আমাদের শুক্রবারের মহরত দ্রুত ফিরে আসুক ', পরিষ্কার জানিয়েদিলেন একাধিক বার জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সম্মানিত পরিচালক ।