টলি-সুন্দরী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন হামেশাই। চল্লিশের গণ্ডি পেরিয়েও অপরূপা স্বস্তিকা। দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে বিতর্ক হামেশাই সঙ্গে থেকেছে স্বস্তিকার, সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। একদিকে তিনি আবেদনময়ী, অন্যদিকে তাঁর অভিনয় দক্ষতা বরাবরই নজর🃏কাড়া। আজকাল তো টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও নিজের পায়ের নীচের মাটি অনেকখানি শক্ত করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। ‘কলা’ ছবিতে স্বস্তিকার অভিনয় সবার মনে দাগ কেটেছে।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করলেন স্বস্তিকা। যা দেখে চোখ আটকে গিয়েছে সবার। গাঢ় গোলাপি সিল্ক শাড়িতে সেজেছেন স্বস্তিকা, পরনে নেই ব্লাউজ। গলায় ভারী নেকপিস, খোলা চুল, সিঁথি রাঙানো লাল সিঁদুরে, কপালে লাল টিম,꧋ পায়ে আলতা, হাতে শাখা-পলা…. কপালে নিজের হাতেই পরছেন চন্দন। যেন প্রিয়তমের জন্য তৈরি হচ্ছেন। এই ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে নুসরত ফতে আলি খানের, ‘এরি সখি রে মোহে পিয়া ঘর আয়ে’। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখছেন, ‘বিয়ের সানাই বাজচ্ছে…’।
স্বস্তিকার সাজে কুপোকাত অনুরাগীরা। একজন লেখেন, ‘রিহানার পর স্বস্তিকা দেখেই দেবী মনে হয়’। এই কমেন্টের জবাবে নায়িকা লেখেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ𝔍’। অপর এক নেটিজেন লেখেন, ‘তোমার কনফিডেন্সটাই ভালো লাগে’। কেউ আবার তাঁকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছেন অভিনেত্রীর।
ছক ভাঙতে বরাবর ওস্তাদ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বলা ভালো, 🌃স্বস্তিকা মানেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সাহসিতার আরেক নাম। স্বস্তিকার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলবার নেই, পাশাপাশি নায়িকার বোল্ড ব্যক্তিত্বও বরাবরই নজর কাড়ে। চলছে বিয়ের মরসুম, আর সেই সময় এক ফটোশ্যুটের জন্য কনের বেশে সামনে এলেন অভিনেত্রী। তাঁর উপর থেকে চোখ ফেরানো সত্যিই দায়!
পর্দায় বহুবার কনের সাজে ধরা 🐬দিয়েছেন স্বস্তিকা। তবে বাস্তব জীবনে একবার বিয়ের সাজ সেজেছিলেন। ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। বাবা-মা'র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে। তবে কয়েক বছরের মধ্য়েই তাল কাটে সম্পর্কে। দুধের শিশু কোলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে ܫআসেন স্বস্তিকা। তারপর থেকে একা হাতেই মানুষ করেছেন মেয়ে অন্বেষাকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভাঙা সংসার꧙ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা। তাঁর কথায়, ‘(অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে) আমার কোনও আফসোস নেই, কারণ আমি যখন ভাবি যে জীবনটা আমি ওই বিয়েটা ছাড়াও কাটাতে পারতাম, আমার মনে হয় তাহলে অন্বেষা আমার সঙ্গে থাকতো না। আর এই ভাবনাটাই আমাকে ভাবিয়ে তোলে তাহলে তো আমার অস্তিত্বটাই অবলুপ্ত হয়েไ যেত। আমি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্বেষাকে আমি পেয়েছি। ও না থাকলে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম। এই পেশাটার মধ্যে একটা নিজস্ব স্ট্রাগল আছে, সেটা অস্বীকার করার জো নেই’।