প্রথ🌺ম দেখাতেই রীতিমতো শ্রীদেবীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন বনি কাপুর। নিজেই জানিয়েছেন প্রযোজক। অভিনেত্রীর থেকে নিজেকে সরিয়ে♔ আনতে পারেননি তিনি। এমনকি সেকথা স্বীকার করেছিলেন নিজের তত্কালীন স্ত্রী মোনার কাছেও।
প্রযোজক বনি কাপুর এবং অভিনেত্রী শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে বহু গুঞ্জন ঘোরফেরা করেছে বলিউডে। বনি কাপুরের ৬৫তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক প্রয়াত বলিউড ডিভা শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর স🍎ম্পর্ক🐽ের রসায়নের চাবিকাঠি।
শ্রীদেবীর ‘ষোলা স๊াওয়ান’ 🐼;দেখার পরই বনি কাপুর ঠিক করেন তিনি তাঁর প্রোডাকশন হাউসে মিস্টার ইন্ডিয়া সিনেমায় তাঁকে কাস্টিং করবেন। অন্যদিকে, শ্রীদেবীর মা মেয়ের অভিনয় কেরিয়ারের যাবতীয় খুঁটিনাটির দেখাশোনা করতেন। তাই বনির প্রথম লক্ষ্য ছিল শ্রীদেবীর মা’কে ইমপ্রেস করা।
২০১৩তে ‘ইন্ডিয়া টুডে বিজনেস সাবমিটে’ গিয়ে বনি কাপুর খোলসা করেন,ꦗ সমসাময়িক অভিনেত্রীদের তুলনায় সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নিতেন শ্রীদেবী। আমি জানতাম সেই সময় শ্রী প্রায় ৮-৮.৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিকে একটা সিনেমা করেছিল। আমি ওর মাকে জানিয়েছিলাম, না আমি ১১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দেব। তিনি যা চাইছেন আমি তাঁর থেকে বেশি পারিশ্রমিক দিতে রাজি আছি শুনে উনি ভেবেছিলাম তিনি ভেবেছিলেন আমি বম্বের একজন উন্মাদ প্রোডিউসার। যাক, এভাবেই আমি তাঁর মায়ের কাছে সহজে পৌঁছাতে পেরেছিলাম।
বনি আরও জানান, মিস্টার ইন্ডিয়া’র শ্যুটিংয়ের সময় শ্রীদেবীর জন্য সেরা মেক-আপ রুম থেকে সেরা পোশাক সবকিছুর ব্যবস্থা করারไ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নিজেকে শ্রীদেবীর প্রেমে পড়া থেকে আটকাতে পারেননি। যদিও সেই সময় বনি কাপুর, মোনা সৌরির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাঁদের দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুশুলা কাপুর। বনি এটাও জানান, তিনি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কাছে স্বীকার করেছিলেন, তিনি শ্রীদেবীর প্রেমে পড়েছেন এবং নিজেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে আনতে পারবেন না।
বনি শ্রীদেবীর পিছু পিছু সু♋ইজারল্যান্ড পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন শ্রীদেবীর চাঁদনির শ্যুটিং চলাকালীন। শ্রীদেবীও বনি কাপুরে অনুভূতি এবং আচরণ দেখে ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছিলেন। বনি জানান, ‘শ্রীদেবী বুঝতে পেরেছিল আমার অনুভূতিগুলো সত্যি ছিল। আমি পালানোর মতো মানুষ নই। কোনওভাবে এগুলোই অবস্থান করেছি📖ল।‘
শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালে বনি আর শ্রীদꦅেবী সাত পাঁকে বাঁধা পড়েন। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান-জাহ্নবী আর খুশি। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়রি দুবাইয়ের হোটেলে বাথটবে দুবাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলের বাথꦅটবে ডুবে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর।
শ্রীদেবীর ৫৫তম জন্মদিনে এক অনুষ্ঠানে বনি কাপুর জানান শ্রীদেবীর মৃত্যুতে তাঁর জীবনে এক অসম্ভব শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। বনি জানান, ‘যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তার কোনও পরিপূরক নেই... শ্রীদেবী যে অবদান, যে স্মৃতি রেখে গেছেন তা আঁকড়েই আমরা বেঁচে আছি। ও সব সময়ই আমার স্মৃতিতে আছে...আমার সন্তানদের সঙ্গেও আছে। আমি আমার জীবনে তা💜ঁকে হারানোর শূন্যতা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি, শুধু আমিই নয় আমাদের সন্তনেরাও। দুর্ভাগ্যবশত, ও খুব তাড়াতাড়ি দূরে সরে গেছে আমাদের থেকে যা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল'।