দুনিয়া তাঁকে চেনে সঙ্গীতের সুযোগ্য় ছাত্র হিসাবে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম স্তম্ভ উস্তাদ রশিদ খান। তাঁর রাশিদ খানের গানের গুণমুগ্ধের সঙ্গে অগুণতি। কিন্তু সঙ্গীতের বাইরে রাশিদ খানের একমাত্র ভালোবাসার নাম সোমা বসু ওরফে জয়িতা বসু খান। খুব অল্প বয়সে সুন্দরী সোমার প্রেমে পড়েছিলেন রাশিদ খান। সময় নষ্ট করেনি। 🍬চটজলদি বিয়েটাও সেরে নেন। দুজনের ধর্ম আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা। কিন্তু তাঁদের প্রেম কাহানিতে ভিলেন হয়নি পরিবার।
মাত্র ২৩ বছর বয়সেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন রাশিদ খান। মেনস ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবনের সেরা মুহূর্ত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাশিদ খান জানিয়েছিলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়াই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। আমাদের প♏্রেম কাহিনিটা একদম অন্যরকম। আমাদের ধর্ম আলাদা। কিন্তু আমার বাবা এই বিয়ের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি বরং উনি আমাকে সমর্থন করেছেন। সোমা আমার জীবন বদলে দিয়েছে, এর জন্য আমি আজীবন ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব’।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রাশিদকে আগলে রেখেছেন সোমা। রাশিদের কর্মজীবনে বরাবর পাশে থেকেছেন♕ স্ত্রী। তাঁর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন, পরিবারকে সামলেছেন। রাশিদ খানের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির ম্যানেজিং ডিরেক্টরও সোমা। ঘরে-বাইরে সর্বত্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বামীর সঙ্গে দিয়েছেন তিনি। ৩২ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। সংসার করেছেন,সঙ্গীত সাধনা করেছেন। বড় করেছেন তিন সন্তানকে। এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের বাবা-মা তাঁরা।
২রা ডিসেম্বর তাঁদের বিয়ের তারিখ। এক মাস এক সপ♓্তাহ আগেই বিয়ের ৩২ বছর পূর্ণ করেছেন রাশিদ-সোমা। দু-বছর আগে বিবাহবার্ষিকীর দিন জ♏মাটি আড্ডা বসেছিল রাশিদের বাড়িতে। সামিল হয়েছিলেন অভিজিৎ, বাবুল সুপ্রিয়, রাজ চক্রবর্তী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা।
বিয়ে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একবার রাশিদ খান বলেছিলেন, ‘আমি যাকে ভালোবেসেছি, সময় নষ্ট করিনি তাঁকে বিয়ে করিনি। সেইসময়টা সঙ্গীতে বিনিয়োগ করেছি…. সন্তানদেরও সেই ক✤থাই বলি, ভালোবাসলে তাঁকে বিয়ে করে নাও’।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। এরপর নভেম্বরে আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন শিল্পী। গত ২২শে নভেম্বর থেকে ভর্তি ছিলেন পিয়ারলেস হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিটে থামল লড়াই। ‘আপনজন’ রাশিদ খানের মৃত্যুর খবর পেয়েই সব কাজ ফেলে হাসপাতালে ছুটে আসেন মুুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিল্পীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন দিদি, রইল পাশে থাকার বার্তাও। মমতাকে বলতে শোনা গেল, ‘রাশিদের স্ত্রী, কী অল্প বয়স। বাচ্চা মেয়ে’। অভিভাবক হয়ে রাশিদ খানের পরিবারের পাশে থাকার কথা বলেন মুখ্যমন্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚত্রী।