২০২৩ সালে NABC তে অংশ নিতে গিয়ে খারাপ অভ𓄧িজ্ঞতা হয় বাংলার একাধিক শিল্পীর। তখনই বয়কট ডাক ওঠে। কিন্তু এবার তাও টলিউডের একাধিক শিল্পী সেখানে অংশ নিতে গিয়েছেন। সেটা নিয়ে নেটিজেনদের অনেকেই বিদ্রুপ করেছেন। কিন্তু সেখানকার অনুষ্ঠান কেমন হল? অভিজ্ঞতা জানিয়ে কী লিখলেন লেখক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের NABC প্রায় শেষ পর্যায় এসে পৌঁছেছে।
কী লিখেছেন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এবারের NABC এর অভিজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, 'আজ বঙ্গসম্মেলনে বঙ্গসঙ্গীত জমায়েতে শুনলাম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সংস্কৃত মন্ত্রপাঠ। সিনেমা করলেই কী জানি কেন, লোকের ধারণা হয় তাঁরা সংস্কৃত থেকে ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস, সবই পারে। অতএব উনি স্যামবাজারᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚের সসিবাবুর ধরণে দিব্যি সর্বভূতেsu শক্তিরূপেণ বলে অনেকবার খুব চিল্লামিল্লি করলেন। এছাড়া একটু নাচলেনও। শিল্পে সমঝদাররা কিছু দেখে বলেন বাহ, কিছু দেখে বলেন আহা, আর তার উপরে গেলে বলেন হায়। আমি এটায় হায় বললাম।'
তিনি বিদ্রুপ করতে ছাড়েন না সৌরেন্দ্র সৌম্যজিৎকেও। লেখেন, 'জিনিসটা ছিল সৌম্যজিৎ সৌরেন্দ্রর পরিচালনায় বঙ্গসঙ্গীত যাপন। সেখানে অনেক শিল্পী ছিলেন। ইমন, সোমলতা, পরমব্রত আরও কারা কারা যেন। বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ ছিল থিম। বাঙালির সঙ্গীত নিয়ে অনেক ভালো ভালো লম্বা লম্বা কথা শোনা গেল। সৌম্যজিৎ বললেন একমাত্র বাঙালির পক্ষেই সম্ভব থিয়েটার রোডের নাম বদলে শেক্সপিয়ার সরণী করে দেওয়া। বলে, কেউ বিশ্বাস করবেননা, মহম্মদ রফির হিন্দি গান ধরলেন। এর চেয়ে, কলকাতায় রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড আছে, বললেই হত। কলকাতায় অবশ্য হোচিমিন সরণী꧃ও আছে, লেনিন সরণীও, কিন্তু বঙ্গসংস্কৃতি উদযাপনে কাউকে ভিয়েতনামী গান কিংবা রাশিয়ান ব্যালে নাচতে দেখিনি। বঙ্গসংস্কৃতি আসলে হেবি জটিল জিনিস।' একই সঙ্গে হ্যামলেট নাটক প্রসঙ্গে লেখেন, 'শেষ পাতে দেখলাম কৌশিক সেনের হ্যামলেট। সেখানে হ্যামলেটের বাবার প্রেতাত্মা আর হ্যামলেট মিলে 'জাগো জাগো সর্বহারা' গাইল। এই নাটকটাও পল্লবগ্রাহীর মতোই একটু চেটে চলে আসব ভেবেছিলাম, কিন্তু এই দেখে আমার জেদ চেপে গেল। সিনেমোলারা সব বোঝে আর আমি কিছুই বুঝবনা? অবএব শেষ অবধি দেখে ফেললাম। নাটকে ফোর্থ ওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে বুঝলাম, কারণ হ্যামলেট নিচে নেমে পড়ছিল প্রায়ই। রাজারাজড়ারা জিন্স-টিন্স পরে ঘুরছেন, খুবই সাম্প্রতিক ইন্টারপ্রিটেশন তাও বুঝলাম। হ্যামলেট এর মধ্যে একবার 'কিসের ভয় সাহসী মন লাল ফৌজে' গেয়ে ফেলল। কাকা, বন্ধু ওফেলিয়াকে টকাটক চুমু খেয়ে ফেলল। তখন মাথায় বিদ্যুচ্চমকের মতো🌠 খেলে গেল, যে, হ্যামলেটের বাপ আসলে ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত বা ওই জাতীয় কিছু। কাকাটা বিশ্বপুঁজিবাদ। আর হ্যামলেট হল ক্ষ্যাপাটে বামপন্থী। থাকবে, না ভোগে যাবে বোঝা যাচ্ছেনা। টু-বি অর নট-টু-বি। এ মানে খুবই, মানে খুবই।'
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, বড় পর্দায় আসছে পদাত🎃িক! কবে মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি?
আরও পড়ুন: '...ভয় তোমায় থামাতে পারবে ☂না', অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে ফের ইঙ্গিতবহ পোস্ট মালাইকার
বাদ দেননি সৃজিত মুখোপাধ্যায়, বা তাঁর আসন্ন ছবি পদাতিক ন🐷িয়ে খোঁচা দিতে। সৈকতের লেখায় উঠে এসেছে মমতা শঙ্কর, অরিন্দম শীলদের কথাও।
তাঁর এই পোস্ট দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'খুবই হাস্যকর ব্যাপার চলছে ওখানে। তবে সৈকতবাবু রোজ যাচ্ছেনই বা কেন সেখানে?' দ্বিতীয়জন লেখেন, 'আপনার লেখা পড়ে দু একটি কথা মনে হলো। NABC কেন এতো খরচ করে এদের নিয়ে যায় বলুন তো? না নিলেই তো পারে। এখনকার ট্রেন্ড হচ্ছে বিদেশের মাটিতে গেলেই বিরাট বড়ো শিল্পী। অবশ্যই এনারা সবাই স্বনামধন্য। কৌশিক সেন এর নাটক নিয়ে আপনার বক্তব্য হয়তো অন্য বিরক্তির বাই প্রোডাক্ট। তবে সৌরেন্দ্র সৌম্যজিত এর মতো বিশ্ব পাকাদের আপনারা ড🍰াকবেন ও আবার বলবেন ও....এটা কাম্য নয়। আপনাদের আয়োজকরাও তো সত্যিকারের শিল্পীর বদলে চকচকে জিনিস ই বেছে নেয়। তাই শিল্পীদের সাথে সাথে আয়োজকদের দায় কিছু কম নয়।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'পেছনে ওম্ সামনে মম। ব্যাস আর কি চাই।'