কিংবদন্তি পরিচালক যশ চোপড়া অন্যতম বড় ব্লকবাস্টার চাঁদনি তৈরি করেছিলেন শ্রীদেবীকে নিয়ে। সেই সময়ে আউট অ্যান্ড আউট রোমান্টিক ড্রামা খুব একটা তৈরি হত🙈 না। ফলত যশ চোপড়া বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে এই সিনেমার অফার পৌঁছে দেবেন শ্রীদেবীর মায়ের কাছে।
Netflix-এর নতুন ডকু-সিরিজ দ্য রোমান্টিকস- এর একটি পর্বে দেখানো হয়েছে প্রয়াত পরিচালক তাঁর এই আইকনিক সিনেমা বানানো নিয়ে কথা বলছেন। জানান সেই সময়কার ছবিতে হিংসে, মারামারির উপরইꦦ বেশি ফোকাস করা হত। আর যশ চোপড়া ঠিক করেন জীবনের সবচেয়ে বড় জুয়াটি খেলবেন। বানাবেন হার্ডকোর রোম্যান্টিক ড্রামা।
যশ চোপড়া আরও জানান এর আগে তিনি শ্রীদেবীর♚ সঙ্গে কাজ করেননি। তবে তামিল সিনেমা মুনড্রাম পিরাইতে তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, যা তাঁকে অমিতাভ বচ্চন দেখিয়েছিলেন। অনিল কাপুর এই সিরিজেই শেয়ার করেছিলেন যে, শ্রীদেবী সেই সময়ে ‘শীর্ষ তারকা’ এবং চোপড়া বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে।
যশ চোপড়া সেই দায়িত্বভার দেন বনি কাপুরকে। অনিল কাপুর বলেন, ‘তিনি আমার ভাইকে (বনি কাপুর) শ্রীদেবীর সঙ্গে ক𓄧থা বলতে বলেছিলেন যশ চোপড়া। আমার ভাই যায় চেন্নাইতে শ্রীদেবীর মায়ের সাথে কথা বলতে। আশ্চর্যের ব্যাপার শ্রীদেবীর মায়ের কাছে যশ চোপড়া কে, তিনি এত দুর্দান্ত ছবি তৈরি করেছেন তা একেবারই বিবেচ্য ছিল না। তাঁর কাছে সবচেয়ে যেটা প্রাধান্য পেয়েছিল তা হল টাকা।’
শ্রীদেবী ছবিটি করতে রাজি হওয়ার পর, পরবর্তী সমস্যা ছিল প⛄োশাক। যশ চোপড়া চেয়েছিলেন সিনেমায় একটি সাদা শাড়ি পরবেন শ্রীদেবী। শ্রীদেবীর মনে হয়েছিল এই লুক খুব সাদামাচা। যশ-পত্নী পামেলা চোপড়া বলেন, ‘যশ সবসময় একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন যিনি তার অভিনেত্রীদের সুন্দর করে সাজাতেন। তিনি সম্পূর্ণ সাদা পোশাকে চাঁদনীকে 𒅌কল্পনা করেছিলেন।’ সাদা পোশাক নিয়ে আপত্তি ছিল শ্রীদেবীর মায়েরও। তিনি সাফ পরিচালককে গিয়ে জানান, ‘আমাদের সমাজে সাদাকে উৎসব হিসেবে দেখা হয় না একেবারেই।’ চোপড়া অনেক কষ্টে বোঝান শ্রীদেবীর মাকেও। চাঁদনি এরপর হিট হয়, যা আজও কাল্ট ফিল্ম হিসেবে পরিচিত।
এটাই ছিল শ্রীদেবী আর বনি কাপুরের প্রথম সাক্ষাৎ। বাকিটা তো ইতিহাস। এরপর বনিဣর প্রযোজনায় একাধিক কাজ করেন শ্রীদেবী। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৯৬ সালে।&nbs𓂃p;