দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার তিনি। গ্রামের সাধরণ গৃহবধূ। রান্নার ভিডিয়ো বানিয়েই মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম তাঁর। কথা হচ্ছে ‘পপি কিচেন’ খ্যাত পপির। অতি সাধারণ শাড়িতে ঘোমটা টেনে প্রকৃ🙈তির কোলে তাঁর রান্না দেখতে অভ্যস্ত লাখো দর্শক। আজকাল যদিও সেই ছবির একটু মিসিং, কারণ মাটিতে বসে এখন রান্না করছেন না অন্তঃসত্ত্বা পপি।
হ্য়াঁ, দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছে সে। সম্প্রতি꧒ জাঁকজমক করে সাধের অনুষ্ঠান পালন হয়েছে পপির। মায়ের হাতে সাত মাসের সাধ খেয়েছে পপি,ভাবী সন্তানের জন্য এখনও কমপক্ষে দু থেকে তিন মাসের অপেক্ষা। মার্চের শেষে বা এপ্রিলের শুরুতে দ্বিতীয়বার মা হবেন পপি।
নিজের রোজনামচা ইউটিউব ভ্লগে তুলে ধরেন পপি। সেখানে সম্প্রতি তাঁর স্বামী💧কে বলতে শোনা গেল, ‘পপির অবস্থা খুব খারাপ’। আসলে ঘরের কাজ সামলে অন্তঃসত্ত্বা পপি এখন বেজায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারপর ওইদিন রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা♉ও দিয়েছে সে, তাই ছেলে অর্জুনের স্কুলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না পপি। অগত্যা একাই ছেলের অনুষ্ঠানে রওনা দেন পপির বর। তিনি বললেন, ‘পপি গেলে খুব ভালো হত। সব বাচ্চারাই চায় পেরেন্টসরা যাক, তবে ম্যাডাম এখন রেস্ট নেবে, ঘুমোবে। ওর অবস্থা খুব খারাপ'।
ছেলের পর এবার মেয়ে হোক। মনেপ্রাণে এমনটাই চান পপি। তাঁর শ্বশুরেরও সেই ইচ্ছে। বললেন༺, ‘তিন মাস পর ৫০০ লোককে মিষ্টি খাওয়াবো। আর ৬ মাস 𝕴পরে (অন্নপ্রাশনে) আরও লোক খাবে। বিরিয়ানিও হবে’।
সাধে ভরপুর উপহার পেয়েছেন পপি। সবচেয়ে বেশি পপি উপহার হিসাবে পেয়েছেন তাঁতের শাড়ি। সব মিলিয়ে ১৬টা শাড়ি পেয়েছেন পপি, সেই উপহারও ফলোয়ার্সদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন। অনুসরণকারীদের উদ্দেশে তাঁর একটাই বার্তা, ‘এ🏅কটাই প্রার্থনা করুন আমরা দুজনে যাতে সুস্থ থাকতে প📖ারি’।
সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশে, ঘরোয়া আয়োজনে, দেশি-বিদেশি নানা পদ নিজের হাতে রেঁধে, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই ইউটিউবার। পুরনো দিনের রান্নার রেসিপি থে𝐆কে আজকের জেনারেশনের🧜 পছন্দের পিৎজা, সবই রান্না করেন পপি।
ইউটিউবে দুটি চ্যানেলের পাশাপাশি ফেসবুকে তিনটি পেজ খুলে ফেলেছেন এই ‘সহজ-সরল গ্রামের বউ’টি। একটির নাম ‘পপি কিচেন’। অপর দুটির নাম ‘পপি কিচেন ফ্যামিলি ভ্লগ’ ও ‘দ্য রিয়েল ভিলেজ কুকিং’। মাঝে তিনটি পেজই চলে গিয়েছিল হ্যাকারদের দখলে। সেই সময় কেঁদেকেটে সকলকে তা 🙈জানিয়েওছিলেন পপি। যদি✤ও এখন অনাগত সন্তানকে নিয়েই সব ভাবনা। বড় সাবধানে কাটাচ্ছেন প্রেগন্যান্সির শেষ সময়টা