ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডস নারীদের একটি অতি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাসিকের সময় মহিলাদের বেশি করে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। অনেক মেয়েকেই মাসের এই ক'টা দিন অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবুও মুখ ফুটে অনেকেই সে কথা বলতে পারেন না। ২০🅰২৩-এ দাঁড়িয়েও ঋতুস্রাব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পান না অনেকেই। কারণ ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় আজও এটিকে ট্যাবু বলেই গণ্য করা হয়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো, সেখানে দেখা যাচ্ছে এক সমাজ মাধ্যম প্রভাবী গান গেয়ে, পুষ্পবৃষ্টি করে ঋতুস্রাবের সময় নারীদের ‘স্পেশ্যাল টဣ্রিটমেন্ট’ দিচ্ছেন। ভিডিয়োয় দেখা গেল একটি কমন প্লেসে, খুব সম্ভবত কোনও শপিং মলের বাইরে একটি চেয়ার পাতা রয়েছে। সেখানে সাদা কাগজে লেখা একটি বার্তা- ‘যদি আপনি পিরিয়ডসে থাকেন, তাহলে এই চেয়ারে বসুন’। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক মেয়েই এগিয়ে আসে। তাদের জন্য গান গেয়ে, ফুলবৃষ্টি করেই ক্ষান্ত থাকেননি সিধেশ লোকারে নামের ওই সমাজ মাধ্যম প্রভাবী, ঋতুমতী মেয়েদের মিষ্টি,কেক, ফুলের তোড়া উপহারও দিলেন। কখনও আবার তাঁদের সঙ্গে নেচে উঠলেন। এই ভিডিয়ো নিয়ে নানা মুনির নানা মত! অনেকেই এই ভিডিয়ো ক্রিয়েটারের প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।
সিধেশের বার্তা, ‘ প্রিয় ঋতুমতীরা, জীবনচক্রে ঋতুস্রাব হল এমন একটা প্রক্রিয়া যা তোমারই অনুভব করো। প্রতি মাসের এই জার্নিটা অনেক যন্ত্রণার, তা সত্ত্বেও মুখে হাসি নিয়ে তোমারা এগিয়ে চলো। সব বাধা অতিক্রম কর🙈ে তোমাඣদের এই এগিয়ে যাওয়াটাই প্রমাণ তোমারা কতটা শক্তিশালী…’।
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে মেয়েরা হাসতে পারলে সব যন্ত্রণাই হাসিমুখে পার করা যায়, বিশ্বাস সিধেশের। মাত্র দু-সপ্তাহ আগে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ৯২🐷 লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে সেই সংখ্যা। লোকেশের ভিডিয়োয় সে-সব মেয়েদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের একজন মন্তব্য বাক্সে লেখেন- ‘আমি সত্যিই অভিভূত, তুমি আমার মন ছুঁয়েছো। ওই গোলাপের পাপড়ি সযত্নে আমার ডায়রির পাতার ভাঁজে রয়েছে। এই মুহূর্তটা খুব দামী’। অপর এক নেটিজ♑েন লেখেন- ‘আমি মেয়ে হয়ে বলছি এটা সুন্দর উদ্যোগ। কিন্তু প্রতি মাসে কোটি কোটি মেয়েরা এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যায়, তাই প্রকৃতপক্ষে জনগণকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে হলে প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা। আর ঋতুস্রাবের সময় মেয়েরা দুঃখে থাকে এমনটা নয়, যে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে’।
অনেকে আবার এই ভিডিয়োর মধ্যে পুরুষতন্ত্রের ছোঁয়া খুঁজে পেয়েছেন। সেইসব নারীবাদীদের মধ্যে ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের কোনও পুরুষের দয়া-দাক্ষিণ্য দরকার নেই। তাঁরা নিজেরাই সম্পূর্ণা। কেউ কেউ আবার গোটাটাই প্রচারের আলোয়🍸 থাকার চেষ্টা বা প্রমোশন্যাল গিম🧔িক বলে কটাক্ষ করেছেন।