বুধবার সকালে খবর এল প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। এটাও জানা গেল মঙ্গলবার রাতে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’ কেড়ে নিয়েছে তাঁর প্রাণ। তার💮 পর থেকে অনেকেই জানতে চাইছেন, কী 🐽এই অসুখ।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অসুখটিতে ভুগছিলেন প্রখ্যাত সুরকার। সংবাদমাধ্যমকে তেমনই⭕ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শেষ পর্যন্ত সেটিই কেড়ে নিল তা𓃲ঁর প্রাণ।
সকলের ক্ষেত্রে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি না হলেও, এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন য🦄ে ꦯকেউ। কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া-র মতো সমস্যা হচ্ছে? জেনে নিন এই অসুখটি সম্পর্কে।
কী এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া?
এটি মূলত শ্বাসযন্ত্রের উপরিভাগের সমস্যা। ঘুমের মধ্যে বারবার শ্বাসনালীর উপরের দিকে বাধা এলে তাকে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়। সাধারণত নাক, মুখ হয়ে গলা দিয়ে বায়ুর স্বাভাবিকভাবে চলাচল করার কথা। ঘুমের মধ্যেও এটি সচল থাকারই কথা। কিন্তু তাতে বাধা পড়লেই, সেই সমস্যাটিকে অবস্ট্রাকটিভ 𝓰স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়।
কী কী কারণে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে?
- এর সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে মেদ। টনসিল বড় হয়ে গেলেও এটি হতে পারে।
- হাইপারটেনশন, পলিসিস্টিক ওভারির মতো সমস্যার কারণেও এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে।
- হাঁপানি-সহ ফুসফুসের অন্য সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে।
- স্নায়ুর সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। তাতে বুকের পেশির উপর মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ কমে যায়।
- হৃদযন্ত্র এবং কিডনির সমস্যাতেও এটি হয়।
- অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রেও এটি দেখা যেতে পারে।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও এটি হতে পারে।
কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়ে থাকতে পারে?
- নাক ডাকা এর প্রধান লক্ষণ।
- ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে যাওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে এতে।
- সকালে ঘুম থেকে ওটার পরে মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এটিও অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ।
- ক্লান্তিও হতে পারে এর ফলে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে অবসাদ বাড়তে পারে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে।
- অনেকে যৌনসম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এই সমস্যায়।
চিকিৎসকের কথায়: ফোর্টিস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্রবিদ চিকিৎসক শিবরেশমি উন্নিথানে♕র কথায়, ‘স্লিপ অ্যাপনিয়ার ক্ষেত্রে অক্সিজেন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি পর্যন্ত পৌঁছোয় না। মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন যায় না। এর ফলে শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাতেই হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। শুধু সেটিই নয়, বাড়ে অ🦩ন্য নানা ধরনের জটিলতার আশঙ্কাও।’ তাঁর কথায়, গত ১০-১২ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে।
‘এটি মূলত জীবনযাত্রꦰার কারণে তৈরি হওয়া অসুখ। যাঁদের এই সমস্যা থাকে, তাঁদের দিনের বেলায় যে কোনও কাজের ফাঁকে ঘুমিয়ে পড়েন। বই পড়তে গিয়ে, অফিসের কাজ করতে গিয়ে, এমনকী গাড়ি চালানোর সময়েও। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও সকালে ঘুম ♌থেকে ওঠার পরে ক্লান্তি, ঘুমের মধ্যে তীব্র নাকডাকাও এই সমস্যার লক্ষণ।’ এমনই বলছেন তিনি।
তাঁর পরামর্শ, যাঁদের এই সমস্যাগুলি হচ্ছে, তাঁরা ফেলে না রেখে, দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। ꦇস্লিপ অ্যাপনিয়ার নানা চিকিৎসা রয়েছে। ত🧜াতে বেশ সুফল পাওয়া যায় বলেও জানাচ্ছেন তিনি।