টার্মিনাল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। হাতে বাকি ছয় মাস সময়। কিন্তু꧂ তাঁর চলে যাও༒য়ার পরে, তাঁর পরিবারের না কোনও অসুবিধা হয়, এই বিষয়টাই নিশ্চিত করতে চান আমেরিকায় বসবাসকারী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। এর জন্য ওই ব্যক্তির প্রয়োজন পরামর্শের।
জানা গিয়েছে, টার্মিনাল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির এইচ-১বি ভিসা রয়েছে। ফেসবুক গ্রুপ 'এসওএস গ্লোবাল ইন্ডিয়ানস ইউএসএ সলিউশনস এন্ড নেটওয়ার্কিং ফর ইন্ডিয়ানসꦰ ইন ইউএস' (SOS Global Indians®️USA Solutions & Networking For Indians In US)-এ, আমেরিকায় তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ চাইছেন তিনি।
এইচ৪ ভিসায় আটলান্টিকের ওপারে, স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। ম🍎েয়ের জন্ম আমেরিকাতেই। লিখেছেন, 'আমার ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়েছে এবং ছয় মাস বাকি আছে। আমি চলে যাওয়ার পর আমার পরিবার এখানে থাকার কোনও সুযোগ আছে কি? আমি যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের জন্য একটি ভবিষ্যত চাই।'
হিন্দুস্তানটাইমস ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময়, ভারতীয়-আমেরিকান ভিসা পডক🐲াস্টার রাহুল মেনন বেশ কয়েকটি সমাধানের অপশন দিয়েছেন। বলেছেন, আমেরিকায় থাকার জন্য তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে কয়েকটি সহজ অপশন রয়েছে।
১) তিনি নিজে এইচ১বি ভিসা করিয়ে নিতে পারেন। যদিও এই ভিসা প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা আছে। শুধুমাত্র এপ্রিলেই করা যায়। বিপুল সংখ্যক আ💃বেদ𝔉নকারীর কারণে এটি পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এই অপশনটি সম্ভব না হলে, আরও একটি বিকল্প রয়েছে।
২) এক ধরনের এইচ১বি ভিসা রয়েছে, যা অলাভজনক সংস্থার মাধ্যমে𓄧 ফাইল করা যায় বছরের যে কোনও সময়। তবে এর একটি খারাপ দিক হল, এটি শুধুমাত্র চ্যারিটি বা স্বেচ্ছা সেবীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ এই ভিসার সুযোগও সীমিত।
৩) তাঁর স্ত্রী ডিগ্রি প্রোগ্রাম শুরু করতে পারেন। এর জন্য একটি এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা করাতে পারেন। যদিও, মেনন উল্লেখ করেছেন যে এই ভিসা দিয়ে, সংসার চালান🦋ো কঠিন হবে। কারণ এফ-ওয়ান ভিসা অতি♒রিক্ত আয়ের অনুমতি দেয় না, যা আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে।
৪) মেনন আরও জটিল বিকল্পের কথাও বলেছেন। স্বামীর কাছে অনুমোদিত আই-১৪০ ভিসা থাকলে, তাহলে তাঁর স্ত্রী কাজ করতে পারবেন। গুরুতর অসুস্থতা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার অনুমোদন এক বছরের জন্য বৈধ। প্রতি বছর রিনিউ করা যেতে পারে। যদিও, এই অপশনের কোনও গ্যারান্টি নেই, কারণ এটি ইউএস সিটিজেনশিপ অ্য♏ান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস 💙(ইউএসসিআইএস) অফিসারদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
৫) ভারতীয়-আমেরিকান পডকাস্টার উল্লেꩲখ♏ করেছেন যে স্ত্রী অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের (আইএনএ) ধারা ২০৪(এল) এর অধীনে, সাহায্যের জন্য যোগ্য হতে পারেন। এই আইন মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দেয়। একইভাবে ওই ব্যক্তির স্ত্রীও এই সাহায্য পেতে পারেন। কারণ তিনি স্বামী মারা যাওয়ার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। এবং এখনও এই দেশেই বসবাস করছেন। তবে, তিনি যে এই সাহায্য পাবেনই, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কারণ ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এর উল্টো সিদ্ধান্তও নিতে পারে।
আরও পড়ুন: (Junk food: অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খেলে হতে পার𒆙ে স্মৃতিশক্তি নষ্ট, বলছে গবেষণা)
এর আগে এইচ১বি ভিসা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল এক পরিবারকে। মেনন জানি﷽য়েছেন, আমেরিকায় শ্রীনিবাস কুচিভোটলা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর, তাঁর স্ত্রী, সুনয়না দুমালাকে, ভিসা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কারণ তাঁদের কাছেও এইচ১বি ভিসাই ছিল। এরপর স্বামীর মৃত্যুর পর, তিনি ভারতে ফিরে আসেন। একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ তাঁকে ১২ মাসের ওয়ার্ক পারমিট পেতে সাহায্য কর💮েছিলেন।
সংক্ষেপে এইচ-১বি ভিসা
যারা সাধারণ💛ত আমেরিকায় কাজ করতে যান, তাঁদের দেওয়া হয় এইচ-১বি ভিসা। এই ভিসার মেয়াদ ছয় বছর। আমেরিকান কোম্পান🍰িগুলির চাহিদার কারণে, ভারতীয় আইটি পেশাদাররা এই ভিসা সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকেন। যাঁদের এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁরা আমেরিকান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এইচ-১বি ভিসাধারী একজন ব্যক্তি, সন্তান এবং স্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকায় থাকতে পারেন।