চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারত। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয়েছে এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস। সারা বিশ্বের ইতিহাসে নাম কর💟ে নিয়েছে ভারত। তবে এর পরই নানারকমের ভিডিয়ো ও ছবি ঘোরাফেরা করছে নেটদুনিয়ায়। ভিডিয়ো ও ছবিগুলির অধিকাংশই পুরোনো। তেমনই একটি ভিডিয়ো ছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির। তাতে এক সাংবাদিককে ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়োকর বক্তব্যই শুনেই চটলেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। ভিডিয়োটি শেয়ার করে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন।
(আরও পড়ুন: চায়ের সঙ্গেই সিগারেট খান? উপকার হচ্ছে না ক্ষতি? জেনে নিন বিশ💎দে)
কী ছিল সেই ভিডিয়োতে? বিবিসি সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়োতে সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, ভারতের কি এত টাকা মহাকাশ গবেষণায় খরচ করা উচিত? তাঁর কথায়, ‘ভারতে এখনও বিপুল পরিমাণ দারিদ্র্য রয়েছে। ৭০ কোটির 🎃বেশি মানুষের বাড়িতে শৌচাগার নেই।’ সেই দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ মহাকাশ গবেষণায় খরচ করা ঠিক কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন বিবিসির সাংবাদিক। এর উত্তরে আনন্দ মাহিন্দ্রা টুইটারে লেখেন, ভারতের দারিদ্রের বেশিরভাগের পিছনেই দায়ী ইংরেজ। উপনিবেশ থাকাকালীন বিপুল পরিমাণ ধনদৌলত ভারত থেকে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়েছে ইংরেজ। ২০০ বছর ধরে এই লুঠতরাজ চালিয়েছে ইংরেজরা। সেই কথাই এই দিন মনে করিয়ে দেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।
(আরও পড়ুন: চ✅াঁদে বসতি গড়তে চায় মা💃নুষ, দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের অবতরণের কারণ জানাল ইসরো)
একই সঙ্গে তিনি লেখেন, কোহিনুর হিরে চুরি করাই ইংরেজদের সবচেয়ে বড় চুরি নয়। এর থেকে বড় চুরি হল ভারতীয়দের মনোবল ভেঙে দেওয়া। তারা যে আর নতুন করে কিছু করতে পারে—সেই মনোবলটাই ভেঙে দিয়ে যায় ইংরেজরা। ভারতে উপনিবেশ গড়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ভারতীয়দের ছোট করা। ভারতীয়রা কিছু পারে না—এটাকেই বারবার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে ইংরেজরা। এই দেশ শাসন করার ক্ষমতা ভারতীয়দের নেই, সেটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে ২০০ বছরের শাসনকালে। ওই ভিডিয়োর উত্তরে আনন্দ মাহিন্দ্রা আরও লেখেন, চাঁদে পাড়ি দেওয়া আসলে সেই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ধাপ। আর এটা জরুরি ছিল ব💛লেই জানান মাহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার। তাঁর কথায়, এভাবেই পরাধীনতার সময় হারিয়ে ফেলা আত্মবিশ্বাস ভারত ধীরে ধীরে ফিরে পাবে।