অনেকগুলি কারণ কোষ্ঠকাঠিন্যে সৃষ্টির পিছনে থাকতে পারে। আপাত দৃষ্টিতে জাঙ্ক ফুড খাওয়া, অ্যালকোহল পান করা, অতিরিক্ত খাওয়া, খাবারে ফাইবারের অভাব, কম জল খাওয়া, বেশি মাংস খাওয়া, ধূমপান, মলত্যাগের🅰 তাগিদ উপেক্ষা করা এবং ব্যায়াম না করলে এর শিকার হতে পারেন। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা সময় মতো না করা হলে তা পরবর্তীতে পাইলসের মতো মারাত্মক অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এইচটি লাইফস্টাইলের জারফশান শিরাজের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, দিল্লির চিরাগ এনক্লেভের অ্যাপোলো স্পেকট্রার গ্যাস্ট্রোলজিস্ট ডাঃ পল্লবী গর্গ কোষ্ঠকাঠিন্য বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জꦏানান, হাইপোথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, ইউরেমিয়া এবং হাইপারক্যালসেমিয়া মত কিছু কিছু রোগের অষুধের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এছাড়াও কোলোরেক্টাল ক্যানসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস), ডাইভার্টিকুলাইটিস, কিছু স্নায়বিক রোগ যেমন স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং স্ট্রোকও অন্ত্রের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অ্যামাইলয়েডোসিস, লুপাস এবং স্ক্লেরোডার্মা মত রোগগুলি সরাসরি কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে যুক্ত। তবে, কিছু ওষুধ, যেমন ব্যথা উপশমকারী এবং আয়রন ট্যাবলেট ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তিন আরও জানান, কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলি সনাক্ত🐓 করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। কদাচিৎ মলত্যাগ, মলত্যাগের সময় স্ট্রেনিং, পেটে অস্বস্তি এবং ফোলাভাব এই লক্ষণগুলির কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের লক্ষণ। ড: পল্লবী গর্গের মতে, দৈনন্দিন জীবনে সামঞ্জস্য রেখে চলা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তিনি জানান, রোজকার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য যুক্ত করলে নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে। এছাড়াও হাইড্রেটেড থাকা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জল মল নরম করতে এবং হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে অন্ত্রের কাজ ভালো হয় এবং হজম ভালো হয়।
তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, জীবনশৈলী পরিবর্তনের পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য রোগ। নিরাময়ে সাহায্য করে। এই জাতীয় প্রতিকারগুলি ব্যবহার করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর🌳্শ নেওয়া উচিৎ। তিন আরও বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এবং ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতেও সম﷽স্যায় পড়েন। তবে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় এবং এর পিছনে অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করার জন্য কোনও বিলম্ব না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
তিনি🍃 পরিশেষে বলেছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে। মলদ্বার ফুলে যাওয়া এবং স্ফীত শিরা (অর্শ), শক্ত মল (মলদ্বারের ফিসার), কোলন প্রাচীর থেকে তৈরি থলিতে সংক্রমণ (ডাইভার্টিকুলাইটিস), মলদ্বার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া প্রভৃতি। তাই, কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ এবং চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সঠিক মাত্রায় সুষম খাদ্য গ্রহণ, হাইড্রেটেড থাকা এবং একটি সক্রিয় জীবনধারা গ্রহণ করে, আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে পারে। প্রয়োজনে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহ🌞ণ করুন।