চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ব🦄িশ্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে করোনা সংক্রমণ। মহামারীর শুরু থেকেৃ ৭০.৩৬ কোটিরও বেশি মানুষ এই ভয়ানক সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা শুধুমাত্র সংক্রমণের ক্ষে💛ত্রেই নয়, সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যার কারণ।
এখনও পর্যন্ত, পোস্ট কোভিডের (লং কোভিড) কারণে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পরে হার্ট, মেটাবলিজম এবং মস্তিষ্ক সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত সাম্প্রতিক গবেষণায় গবেষকরা ফুসফুসের সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডের পরে ভারতীয়দের মধ্যে ফুসফুসের ক্ষতির হার খুব বেশি দেখা গিয়েছে। করোনা সংক্রমণ ফুসফুসের কার্যকারিতাকে মারাত্মক☂ভাবে প্রভাবিওত করেছে, যা অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। এমনকি এই রোগ পূর্বে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
ফুসফুসের উপর করোনাভাইরাসের প্রভাব:
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডের পরে বেশিরভাগ ভারতীয় ফুসফুসের কার্যকারিতায় উল্লেখযোগ্য হ্রাসের কথা জানিয়েছেন। অর্ধেকেরও বেশি মানুষ শ্বাসকষ্টের অভিযোগ করেছেন। এই ফলাফল উদ্বেগজনক, যার কারণে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজের ফুসফুস এবং হার্ট পর𒆙ীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস এই দুটি অঙ্গকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। যাঁরা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের জন্যও ফুসফুসের সমস্যা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ গবেষকরা কোভিডের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলি সম্পর্কে জানতে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। জানা গিয়েছে, ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর কোভিড ১৯- এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি তদন্ত🌱 করার জন্য ভারতের বৃহত্তম গবেষণা ছিল এটি। করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় গবেষণা চলাকালীন ২০৭ জন অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে তাঁদের সমস্যাগুলি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছিল। গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পরও গড়ে দুই মাসেরও বেশি সময় পরে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৯.৩ শতাংশ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এবং ২৭🔯.১ শতাংশ কাশির কষ্টে ভুগছিলেন।
গবেষকরা কী বলছেন?
মেডিক্যাল কলেজের পালমোনারি মেডিসিনের অধ্যাপক ꧙এবং গবেষণার প্রধান গবেষক ডিজে ক্রিস্টোফার বলেছেন, অনেক গবেষণা ইঙ্গিত করে যে রোগের তীব্রতার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যানের তুলনায় ভারতীয় জনসংখ্যার মধ্যে ফুসফুসের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, ফুসফুসের ক্ষতির সঠিক কারণ স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না কারণ ভারতীয় জনসংখ্যার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি সহনশীলতা রয়েছে।
একইভাবে, ইতালিতে পরিচালিত আরও একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৪৩ শতাংশ মানুষের🐻 মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং ২০ শতাংশেরও কম মানুষ কাশিতে ভুগছেন। এই পরিসংখ্যান ভারতীয় সমীক্ষায় প্রকাশ করা তথ্যের তুলনায় কম ছিল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুসফুসের ক্ষতি একটি মারাত্মক সমস্যা। সময়মতো চিকিৎসা না করালে মৃত্যুর আশঙ্কা থেকে যায়। আগের গবেষণায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বিপুল সংখ্যক মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধি এবং গুরুতর হজমের সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। করোনা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিসফাংশন এবং গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর সমস্যাগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলেছে।