মোটামুটি শুক্রবার অফিস করেই রাতের ট্রেনে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। গন্তব্য দার্জিলিং পাহাড়। পরপর কয়েকদিন ছুটি। বড়দিনের সেই ছুটিতে জমিয়ে আনন্দ করতেꦦ হাজার হাজার পর্যটক পাহাড়মুখী। সেই সঙ্গেই প্রচুর পর্যটক এবার ডুয়ার্সে এসেছেন।
তবে পাহাড়ে যারা এসেছেন তাঁদের অনেকের মধ্য়েই সুপ্ত ইচ্ছা একটাই যদি একবার বরফ পড়ে🤡 তবে বেড়ানোটা সার্থক হবে। এদিকে পুজোর ছুটির পরে এবার বড়দিনে পর্যটন ব্য়বসায়ীদের কাছে একরাশ খুশি বয়ে নিয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। অনেকে আবার কিছুটা অফবিট জায়গায় যেতে চান। তাঁদের জন্য রয়েছে হোমস্টে। এনজেপি কিংবা বাগডোগরা থেকে সরাসরি গাড়🔴িতে সেই হোমস্টে-তে গিয়ে কয়েকদিন কাটিয়ে আসছেন পর্যটকরা।
এদিকে অনেকে আবার দার্জিলিংয়ে হোটেল না পেয়েဣ কালিম্পং, কার্শিয়াং, লাভা, লোলেগাঁও সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছেন। আবার প্রতি বছরই এই সময়টাতে ডুয়ার্সে প্রবল ভিড় হয়। এবারও তার অন্য়থা হয়নি। ডুয়ার্সের জয়ন্তী, চিলাপাতা, বক্সা, গরুমারা, জলদাপা🦩ড়া, রায়মাটাং, রাজাভাতখাওয়াতেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
অনেকে আবার এখান থেকে ভুটান চলে যাচ্ছেন। তবে সিকিমে যাওয়ার প্রতিও আগ্রহ রꦑয়েছে 🎐অনেকের। কারণ তিস্তা বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সিকিম। আপাতত উত্তর সিকিমের কিছু রুট নতুন করে চালু হয়েছে।
কিন্তু এতসব কিছুর পরে একটাই কথা, কবে বরফ পড়তে পಌারে দার্জিলিংয়ে?
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, টুংলিং সহ পাহাড়ে উচ্চ অক্ষাংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই খবরটার জন্যই যেন মুখিয়ে আছেন পর্যটকরা। তবে অনেকের মতে, মঙ্গলবারের মধ্য়ে তুষারপাত হতে পারে। তবে মূল দার্জিলিং শহরে তুষারপাতের সম্ভাবনা সেভাবে নেই। এখনও পর্যন্ত যা🌼 পরিস্থিতি। তবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গেই কনকনে ঠান্ডা। সান্দাকফু, ফালুটে তুষারপাতের কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বড়দিনের মরসুমে শুধু পাহাড় বা ডুয়ার্স নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পার্কেও ভিড় ক্রমশ বাড়ছেღ। বড়দিনের আনন্দে মেতেছেন সাধারণ মানুষ। পর্যটন ব্যবস🧔ায়ীদের আশা এবার নতুন বছরেও প্রচুর পর্যটক আসবেন পাহাড়ে, ডুয়ার্সে।