মাত্র ২৪ বছর 🐎বয়সেই ইউয়িং সারকোমা নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রায়তা হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অসুখটি কী।&nb𒅌sp;
ইউয়িং সারকোমা একধরনের ক্যানসার, যা প্রাথমিক ভাবে হাড়ে সংক্রমিত হয়। অস্টিওসারকোমার পরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক হাড়ের ক্যানসার। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই ক্যানসার বেশি দে🍃খা যায়। আমেরিকায় প্রতি মিলিয়নে একজন এই রোগে আক্রান্ত হন।
ইউয়িং সারকোমার প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কী কী
ব্যথা এবং তরল জমা প্রধান উপস🧸র্গ। হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দেয় এতে। অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছ༒ে :
- কোন কারণ ছাড়াই জ্বর হওয়া।
- ক্লান্তি অনুভব করা।
- ত্বকের নীচে গুটি বা ফোলাভাব, বিশেষত বগলে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লিম্ফ নোড তৈরি হওয়া।
এর প্রধান কারণগুলি কী কী
এর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে, এটি জিনগত কারণে হতে পারে বলে অনেকে মনে করౠেন।
এটি কীভাবে ধরা যায় এবং চিকিৎসা করা হয়?
এটি ধরার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তা হল, রো��গীর সম্পূর্ণ শরীর পরীক্ষা এবং চিকিৎসাগত ইতিহাস জেনে নেওয়া। এ জন্য কয়েটি পরীক্ষার সাহায্য নেওয়া হয়। সেগুল꧑ি হল:
- ইমেজিং বা প্রতিবিম্বকরণ।
- এমআরআই স্ক্যান।
- সিটি স্ক্যান।
- পজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি (পিইটি) স্ক্যান।
- বোন ম্যারো: অ্যাসপিরেশন।
- বায়োপসি।
- রক্ত পরীক্ষা যেমন সি-রিয়েক্টিভ প্রোটিনের, লোহিত রক্তকণিকার কমার হার পরীক্ষা।
চিকিৎসা কীভাবে করা হয়:
- কেমোথেরাপি।
- রেডিয়েশন।
- অস্ত্রোপচার।
যদি ক্যানসার বারꩲ বার ফিরে আসে, তবেღ স্টেম সেল থেরাপি দেওয়া যেতে পারে। অন্যান্য যে থেরাপিগুলি দেওয়া যায়, সেগুলি হল:
- মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিস প্রয়োগ করা।
- অ্যান্টিজেন-বৃদ্ধিজনিত ইমিউনোথেরাপি।
ক্যানসা﷽র কোন স্তরে আছে, তার উপর রোগীর বেঁচে থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কারণও আছে। যেমন:
- টিউমারের আকার।
- ল্যাকটেট ডিহাইড্রোজেনসের (এল ডি এইচ) মাত্রা।
- চিকিৎসাজনিত কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা।
- রোগী ১০ বছরের চেয়ে কম বয়সি কি না।
এই সব ক’টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ꦺহয়ে দাঁড়ায়।
চি✅কিৎসার উন্নতি ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় চিকিৎসাসূচি মেনে চলা। চিকিৎসার প্রাথমিকপর্যায়ে মূল্যায়নের জন🐼্য চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২-৩ মাসের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা পুনরায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা এ কথা মনে রাখতে বলেন, এই ক্যানসার যে কোনও সময়ে আবার ফিরে আসতে পারে। সে বিষয়ে রোগীর মানসিক প্রস্তুতি থাকার কথাও বল🔯েন অনেকে।