অধিকাংশ মানুষই আজকাল চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল। কম বেশি সবাই চুল পড়া, টাক পড়ে যাওয়ার কারণে অসুবিধায় পড়ছেন। 💙এর 🅰নেপথ্যে মূলত রয়েছে জীবনযাপনে আসা বদল। বর্তমান সময় আমাদের স্ট্রেস লেভেল অনেকটাই বেড়েছে। কাজের চাপ, পারিপার্শ্বিক চাপ, ইত্যাদি কারণে সঙ্গে আছে আবহাওয়ার পরিবর্তন। সব সবটা মিলিয়েই এই সমস্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কিন্তু যদি দিন দিন এই সমস্যা বাড়তে♏ থাকে, মাথায় হাত ঠেকালেই গোছা গোছা চুল ওঠে তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। বুঝতে হবে༺ এটার নেপথ্যে মোটেই কোনও স্ট্রেস নেই। আছে অন্য কোনও রোগ। আর সেই রোগের কারণেই আপনার অত্যধিক চুল পড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হবে চুলের স্বাস্থ্যেরও। যদি দেখেন প্রচুর পরিমাণে চুল উঠছে আচমকাই তাহলে সতর্ক হন। কোনও না কোনও রোগের আভাস দেয় এই অতিরিক্ত চুল পড়া।
ফলে যাই হয়ে যাক, চুল পড়াকে মোটেই হালকা🎶 ভাবে নেওয়া যাবে না। চুল পড়তে দেখলে একাধিক বাজারি প্রোডাক্ট মেখে সেটা সারানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিন্তু তার ಞআগে দেখে নিন শরীরে কোন কোন রোগ বাসা বাঁধলে চুল পড়ে।
মূলত হরমোনাল সমস্যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। হরমোনের ভারসাম্য যদি নষ্ট ﷺহয়ে যায় তখন এই সমস্যা হতে পারে। এটা মূলত যাঁদের পলিসিস্টিক ওভারি রয়েছে তাঁদের মধ্যে দেখা যায়। ঠিকঠাক পিরিয়ড না হলে বা অনিয়মিত হলেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি হলে যেমন পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়, তেমনই চুল শুষ্ক হয়ে🌠 যায়, আর্দ্রতা হারায়। একই সঙ্গে এই রোগের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। বেড়ে যেতে পারে ওজন।
তবে শুধু যে পলিসিস্টিক ওভারি হলেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে এমনটা নয়। থাইরয়েড হলেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই যদি দেখেন যে হঠাৎ আপনার চুল পড়ার সমস্যা বেড়েছে তাহলে এ🃏কবার থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। থাইরয়েড হলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং ꧟ঝরতে শুরু করে। একই সঙ্গে স্মৃতি শক্তিতে এই রোগ ভীষণ রকম প্রভাব ফেলে।
আপনার যদি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রোগ হয়ে থাকে তাহলে শ্যাম্পু করার সময় চুল ঝরা▨র সমস্যায় ভুগবেন। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তা🔯ই নয় স্ট্রেসের কারণেও চুল পড়তে পারে। তাই নিজেদের স্বাস্থ্য তো বটেই, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। অতিরিক্ত চাপ নেবেন না। স্ট্রেস ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন। মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন স্ট্রেস ফ্রি থাকার জন্য।