🅘পিঠে সবসময় ৬ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ। কারণ তাঁর হার্ট নাকি ওই ব্যাগেই রাখা। মানবদেহে যেখানে এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি থাকে, সেই স্থানটি শূন্য। তার বদলে পিঠেই হৃদযন্ত্র বয়ে বেড়ান এই মহিলা। ব্রিটেনের বাসিন্দা সেলওয়া হুসেনের জীবনযুদ্ধ অনেকটা এমনই। পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল বাঁচার লড়াই করতে করতে, তখন সেই পিঠই সহায় হয়। ২০১৭ সালে সেলওয়ার একটি অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে তাঁর কৃত্রিম হৃদপিণ্ড একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে বয়ে বেড়ান।
আরও পড়ুন - 🅘ভিত ক্ষয়ে যাচ্ছে গোটা উত্তর আমেরিকার, আর কতদিন টিকবে? কী বলছে গবেষণা
কী কী রয়েছে ওই ব্যাকপ্যাকে?
💫ব্যাকপ্যাকের মধ্যে মানবদেহের হৃদযন্ত্রই বিশেষ আকারে নির্মিত রয়েছে। বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্য সেটি তৈরি। সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী ওই ব্যাকপ্যাকে একটি ব্যাটারি, একটি বৈদ্যুতিক মোটর এবং একটি পাম্প রয়েছে। একটি টিউবের মাধ্যমে সেটি বাতাস ঠেলে তার বুকের প্লাস্টিক চেম্বারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তার ফলেই গোটা শরীরে রক্ত সরবরাহ হয়।
ব্রিটেনের প্রথম এমন মহিলা
ꦓসেলওয়া ব্রিটেনের প্রথম এমন মহিলা যাকে সম্পূর্ণ হৃদপিণ্ডই কৃত্রিমভাবে নির্মিত। এই অবস্থাতেই তিনি রোজকার কাজকর্ম করে বেড়ান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কিছুদিন বেড রেস্টে ছিলেন সেলওয়া। এর পর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেন।
আরও পড়ুন - 🃏গরমেও ফুরফুরে ওয়েদার! সামার ট্যুর করুন এইসব জায়গায়, এনজয় করবে আট থেকে আশি
কেন এমন হার্ট তাঁর?
🌌২০১৭ সালের একটি ঘটনাই তাঁর জীবনে বড় বদল এনে দেয়। তখন জুন মাস। হঠাৎ একদিন প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। কোনওভাবে গাড়ি চালিয়ে তিনি এসেক্সের ক্লেহলে তার পারিবারিক ডাক্তারের কাছে পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসকরা সেলওয়াকে পরীক্ষা করে বলেন, তাঁর হখর্ট ফেলিওর হয়েছে।
দুটো কৃত্রিম হৃদপিণ্ড
🍌এই ঘটনার চার দিন পর তাঁকে হেয়ারফিল্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মরণবাঁচন লড়াই শুরু করেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর ছিল যে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারির জন্যও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তখনই তার স্বামী আলের সম্মতি নিয়ে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড বসানো হয় শরীরে। চিকিৎসকরা শরীরের খারাপ হয়ে যাওয়া আসল হৃদপিণ্ড বের করে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড সেখানে বসিয়ে দেন। এর দ্বিতীয় ইউনিট হিসেবে পিঠে একটি ব্যাকপ্যাক দেওয়া হয়। প্রথমটি ব্যর্থ হলে, ব্যাকপ্যাকে দ্বিতীয় ইউনিটটি কাজ করা শুরু করে দেবে।