গরমমানেইত্বকেরহাজারওসমস্যা। আরএরমধ্যেঅন্যতমহলঘামাচিআর চুলকানি।উষ্ণ-𒆙আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যা খুবই স𒐪্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই, সামান্য কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই মোকাবিলা করতে পারবেন বিরক্তিকর ঘামাচির। তবে তার আগে জেনে নিন ঘামাচি কেন হয়।
গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ত্বকের রোমকূপের ভিতর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসে। এই ঘাম অতিরিক্ত গরমেও শরীরকে ঠান্ডা রাখে। কোনও কারণে এই ঘামে মিশে থাকা লবণে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে, সেই অ💯ংশ দিয়ে ঘাম বেরোতে পারে না। এর ফলে রোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। তার উপর হয় জীবাণুর প্রকোপ। মূলত ঘাম জমে ব্যাকটিরিয়া জনিত কারণে ঘামাচি হয়। কোনও কারণে সেই অংশটি জামা-কাপড়ে ঘষা খেলে বা চুলকানি হলে অস্বস্তি বেড়ে যায়।আর গরমে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই এই ঘামাচির সমস্যায় ভোগেন। যথারীতি সারা গ্রীষ্ম ধরে এই ঘামাচির জ্বালায় ভুগতে হয়। তাই জেনে নিন ঘামাচি এড়াতে কী কী করবেন।
- একটা শুকনো কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ বেঁধে নিন। সেই কাপড় এবার ১০-১৫ মিনিট ধরে ঘামাচির উপর লাগান। বরফ নতুন করে ঘাম বসতে দেবে না। দিনে ৩-৪ বার এই ভাবে বরফ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
- নিম পাতা অ্যান্টি সেপটিকের কাজ করে। নিম পাতার রসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘামাচির উপর লাগান। নিম পাতা ঘামাচির উপশম হিসাবে খুবই উপকারী।
- সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করুন। যদি এমন হয় সারা দিন বাইরে বের হননি তবুও রুটিন করে ত্বক পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
- অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ঘামাচি তাড়াতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। ঘামাচির উপর শুধু অ্যালোভেরার রস লাগান। তাহলেই উপকার পাবেন। অথবা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ অ্যান্টি সেপটিকের কাজ করে।
- এক কাপ ঠান্ডা জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডাও ঘামাচির জায়গায় ঘাম বসতে দেয় না। পরিষ্কার কাপড় বেকিং সোডা গোলা জলে ডুবিয়ে ঘামাচির উপর ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত আলতো হাতে মুছতে থাকুন।ঘামাচিঅনেককমে যাবে।
- হালকারঙেরসুতিরপোশাকপরুন।এতেত্বকেরসঙ্গেকাপড়েরঘর্ষণকম হবেও ত্বক সুস্থ থাকবে।
- ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতিলেবুর রস জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিয়ে লাগাতে পারেন।
- ট্যালকমপাউডারব্যবহারনাকরাইভালো। এতে রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- প্রচুরপরিমাণেজলখান।খাবারপাতেরাখুন প্রচুরপরিমাণেফলআরশাক-সবজি।
একটাবিষয়খেয়ালরাখবেনআমাদেরত্বকবিশেষ খুব👍ইসংবেদনশীল। তাই সমস্যা বাড়লে নিজে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।