হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। আইআইটি 𒈔কানপুরের গণনা বলছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা চরমে পৌঁছোবে। প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে এখন পৌঁছে গিয়েছে ওমিক্রন।
কিন্তু এর পরেও কারও কারও ওমিক্রন হচ্ছে। কারও বা সাধারণ সর্দি-জ্বর। আপনিও কি এমনই সমস্যায় ভুগছেন? সেক্ষেত্রে বুঝবেন কী করে আপনার ওমিক্ღরন হয়েছে কি না? ওমিক্রন সংক্রমণ হ🌺লে পর পর কী কী হয়? হালে দেশের নামজাদা ফুসফুস-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সোনম সোলাঙ্কি livemint.com-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রন সংক্রমণ হলে কোন উপসর্গের পরে কোনটি দেখা দেয়। রইল সেই সময়সারণী।
- প্রথমেই দেখা দেবে সারা গায়ে ব্যথা। এটি ওমিক্রনের একেবারে গোড়ার লক্ষণ।
- আস্তে আস্তে তার পরের দিন থেকে শুরু হবে দুর্বলতা, ক্লান্তি।
- ঠিক এর পরের পর্যায়েই চলে আসবে মাথাব্যথা। যাঁদের ওমিক্রনের কারণে জ্বর হচ্ছে, তাঁদেরও এই পর্যায়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
- প্রথম তিন পর্যায় ওমিক্রন সংক্রমণের গোড়াতেই হয়ে যাবে। এর পরে আস্তে আস্তে শুরু হয় কাশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কাশি শুকনোই হয়।
- এর পরের পর্যায়ে নাক দিলে জল পড়া, সর্দির সমস্যা দেখা দেয়। হাঁচিও হতে পারে তার সঙ্গে।
- এর পরের পর্যায়ে সমস্যাগুলি কমতে শুরু করবে। প্রথমেই কমবে হাঁচি-সর্দি।
- তার পরে কমে জ্বর। সাধারণত জ্বর তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কমে যায়। যদি না কমে, তাহলে বুঝতে হবে, সংক্রমণ জোরদার হয়েছে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।
- দুর্বলতা এর পরেও কয়েক দিন থাকতে পারে।
চিকিসকের কথায় উপসর্গের সব ক’টিই যখন শরীর থেকে চলে যাবে, তখন নিজেকে কিছুটা নির๊াপদ ভাবা যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, শরীরে আর কোভিডের জীবাণু নেই। তাই নিজেকে এবং কাছের মানুষের নিরাপত্তার কারণেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে নিয়ম মেনে। বাড়িতে থাকলেও মাস্ক পরে থাকা ভালো।