আমি নামটা বলছি না। বরং সোজাসুজি সমস্যায় আসি। আমি একটি কর্পোরেট হাউজে কাজ করি। এখানে মাত্র ৭ মাস হল কাজ করছি। কিন্তু এর মধ্যেই ভীষণই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার যিনি রিপোর্টিং বস উনি ভীষণই অসভ্যতা করছেন আমার সঙ্গে। কেমন অসভ্যতা একটু বিস্🌟তারিত ভাবে বলি।
আমায় কী পরলে ভালো লাগে, মানায় সেটা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে বলেন। অফিসে তেমন পোশাক না পরে গেলে কটূক্তি করেন। ব্যঙ্গ করেন। সুযোগ বুঝে কখনও গায়েও হাত দেন। অস্বস্তি প্রকাশ করলে বা সরে দাঁড়াতে বললে ইচ্ছাকৃত আমার সাম𒁃ান্য থেকে সামান্য ভুল, বা ভুল না থাকলেও আগের কোনও কথা টেনে অপমান করেন।꧋ অকারণ কাজের চাপ দেন আমার উপর। আমার ক্লায়েন্ট ছাড়াও অন্য ক্লায়েন্টের কাজ চাপিয়ে দেন।
মাঝে মধ্যেღ মনে হয় চাকরি ছেড়ে দিই। কিন্তু আমার গোটা পরিবার আমার উপর নির্ভরশীল। বাবার আয় তেমন নয়। এক্ষেত্রে নতুন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত এই কাজটা ছাড়তে পারছি না। আমি কী করব? কী করলে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাব যদি বলেন?
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
আমাদের সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ পূর্ব☂াশা মুখোপাধ্যায় কী বলছেন দেখুন এই বিষয়ে। তাঁ𝐆র মতে:
কাজ ছেড়ে দেওয়া কোন🌊ও কাজের কথা নয়। আপনি শিওর 𓄧যে নতুন জায়গায় গিয়ে এক সমস্যায় পড়বেন না? তার থেকে সমস্যার মুখোমুখি হন। কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ থাকা ভীষণই জরুরি। না থাকলে, কেউ জেনে বুঝে আপনাকে উত্যক্ত করলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। মনে রাখবেন আপনার যিনি রিপোর্টিং বস, তাঁরও বস আছেন। বা এইচআর আছেন।
ফলে প্রথমে বুদ্ধি করে তাঁর থেকে নিজের দূরত্ব বজায় রাখুন। সামনে যখন কেউ থাকবে আর উনি আপনার গায়ে হাত দেবেন, একটু জোরেই বলুন যে আপনি পছন্দ করেছেন না বিষয়টা। কেব♑ল অস্বস্তি প্রকাশ করলে হবে না। নিষেধ করতে শিখুন, এবং কঠিন ভাবে।
একই সঙ্গে আপনি ন๊িজেই বললেন, উনি আপনাকে মেসেজﷺ পাঠান, সেটার স্ক্রিনশট তুলে রাখুন। বা স্ক্রিনশট নিতে না পারলে অন্য ফোনে ছবি তুলুন। এরপর যথা জায়গায় কমপ্লেন করুন। ভয় পাবেন না। উনি আপনার কেরিয়ারের ক্ষতি করবে এই ভয় পেয়ে এটা সয়ে যাবেন না।
আগে পদক্ষেপ🏅 নিন। তারপর কাজ বদলের সুযোগ তো থাকলই। সেটার খোঁজ এখন থেকে শুরু করে দিন।