ধীরে ধীরে সমাজ পাল্টাচ্ছে। একটা সময় যে সম্পর্ক দেখে নাক সিঁটকাতেন অনেকেই এখন তাঁরাই দাঁড়িয়ে থেকে সেই সম্পর্ককেಞ মান্যতা দিচ্ছেন। পূর্ণতা পেতে দেখছেন। আশা করি বুঝে গিয়েছেন কিসের কথা বলছি। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন সমকামী প্রেম এবং সম্পর্ক। তবে শেষ অবধি সবাই মেনে নিলেও শুরুর পথ মোটেই মধুর থাকে না। পরিবারকে বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হয়। এর অন্যথা ভারতের সুবিক্ষা এবং বাংলাদেশের টিনা সঙ্গে।
প্রথমদিকে এই সমকামী যুগলের সম্পর্ক নিয়ে ঘোরতর আপত্তি ছিল দুই বাড়ির। একে তো সমকামী তার উপর আবার দুই দেশের ব্যাপার। ফলে টিনাদের পরিবারকে বোঝাতে যথেষ্ꦚট বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু সবশেষে পরিবার বুঝে তাঁদের পাশে থেকেছে। শেষ পর্যন্ত পরিবারকে পাশে নিয়েই তাঁরা💖 বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। ব্রাহ্মণ রীতিনীতি মেনেই চেন্নাইয়ে বিয়ে হয়েছে তাঁদের।
তাঁদের সম্পর্কে সুবিক্ষা জানান, তাঁর মা প্রথমে এই বিষয়টা মানতে পারেননি সমাজের কথা ভেব🍌ে, কিন্তু পরে✤ বোঝেন সমাজের চোখ রাঙানির থেকে মেয়ের ভালো থাকা অনেক বেশি জরুরি। তাই তাঁরা প্রথমে মেয়েকে 'ঠিক পথে' ফেরানোর জন্য মনোবিদের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাজ হয়নি। অগত্যা পরিবারকে এই সম্পর্ক মানতে হয়েছে।
অন্যদিকে টিনা এর আগে আরও একবার বিয়ে করেছিলেন। তাঁর যখন ১৯ বছর বয়স তখন তাঁর বাবা মা এই সমকামিতার কথা জানতে পারেন। এবং মেয়েকে শুধরানোর জন্য, মে🌌য়ের এই মানসিক রোগ সারানোর জন্য জোর করে এক পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
এখন ২৯ বছর বয়সী সুবিক্ষা সুব্রামনির সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী টিনার বিয়ে হল। তাঁদের ছয় বছরের প্রেম পূর্ণতা পেল ꧃অবশেষে। কিন্তু ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধমুক্ত করলেও সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেয়নি। তাই এই বিয়ে এখনও খাতায় কলমে স্বীকৃতি পায়নি। তবে পরিবারের স্বীকৃতি অবশ্যꦐই পেয়েছে।