Dakshineswar Kali Idol: দক্ষিণেশ্বরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল মোট তিনটি মূর্তি। এর মধ্যে মা ভবতারিণীর একটি মূর্তিকেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মন্দিরে। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাণী রাসমণি। বাকি দুটোকে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি আকারের সমস্যার কারণে। প্রসঙ্গত, মূর্তি গড়েছিলেন কাটোয়ার দাঁইহ❀াটের নবীন ভাস্কর। কিন্তু যে দুটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা হল না শেষ পর্যন্ত, সে দুটি বর্তমানে কোথায় তা অনেকেরই অজানা।
মন্দির নির্মাণের স্বপ্নাদেশ
তখন ১৮৫৪-৫৫ সাল। জানবাজারের মাঢ় বংশের পুত্রবধূ রাণি রাসমণি স্বপ্নাদেশ পেলেন মা কালীর থেকে। গঙ্গা নদীর তীরে তাঁর জন্য একটি মন্দির নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু কোথায় নির্মাণ করবেন মন্দির? কে দেবে তাঁকে জমি। অবশেষে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর তখনকার দক্ষিণেশ্বর গ্রামে কিছুটা স্থান পান রাসমণি🌌। মন্দিরের তোড়জোড় শেষ করে তিনি উদ্যোগ মূর্তি নির্মাণের।
আরও পড়ুন - বাড়ি বসেই দেখু🐟ন দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পুজো লাইভ! কোথায়, কখ༒ন? রইল লিঙ্ক
মূর্তি অপছন্দ হয়েছিল রাণীমায়ের
নবীন ভাস্করের বরাত পাওয়ার পর একটি মূর্তি তৈরি হলে তা দেখতে যান রাণি রাসমণি। কিন্তু আকারে ছোট হওয়ায় সেটি পছন্দ হয়নি রাণিমায়ের। ফের মূর্তি নির্মাণ শুরু করেন নবীন ভাস্কর। দ্বিতীয় মূর্তি তৈরি হওয়ার পর দেখা দিল নতুন সমস্যা। কারণ সেটি গর্ভগৃহের থেকে আকারে বড় হয়ে যায়। ফলে সে মূর্তিকেও𒈔 বাতিল করতে হয়। অবশেষে তৃতীয় আরেকটি মূর্তি তৈরি করেন নবীন ভাস্কর। সেই মূর্তিটি পছন্দ হয়ে যায় রাণীমায়ের। পাশাপাশি আকার আকৃতির নিরিখেও গর্ভগৃহের সঙ্গে খাপ খেয়ে যায় মূর্তিটি। শেষমেশ সেটিই স্থাপিত হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দিরে।
কোথায় প্রতিষ্ঠিত অন্য দুই মূর্তি?
কিন্তু বাকি দুটি মূর্তি তাহলে কোথায় গেল? দুটোই রয়েছে কলকাতায়। নবীন ভাস্কর যে বড় মূর্তিটি গড়েছিলেন সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়🐽 হেদুয়ার গুহ বাড়িতে। দেবী এখানে নিস্তারিণী কালী নামে পরিচিত। অন্য়দিকে ছোট মূর্তিটি বরানগরের প্রামাণিক পরিবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে দেবী ব্রহ্মময়ী কালীর💖ূপে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।