গঙ্গার তীরে দক্ষিণেশ্বর মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত তা কিন্তু🐓 নয়, এটি এমন একটি দর্শনীয় স্থান যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস। রানী রাসমণি, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই মন্দির। প্রতিবছর কালী পুজোর দিন এই মন্দিরে দু'দিনব্যাপী👍 চলে ভোগ রান্না।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস
১৮৫৫ সালের ৩১ মে, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দিন সমস্ত রীতিনীতি মেনে দক্ষিণেশ্বরে মায়ের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। যে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেই দেবীর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে শ্রীশ্রী জগদীশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরানী🦹 নামে। মজার কথা হল, সেখানে কোথাও ভবতারিণী দেবীর নাম উল্লেখ পর্যন্ত নেই। কিন্তু তাহলে মাকে কেন ভবতারিণী নামে ডাকা হয়? এর একটাই অর্থ হতে পারে, যেহেতু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মাকে ভবতারিণী বলে ডাকতেন, তাই সেই🉐 নামটি লোকমুখে প্রচলিত হয়ে গেছে।
(আরও পড়ুন: এই বছর প্রথম রঙ্গোলি তৈরি করবে🎃ন? আপনার জন্য রইল কিছু সহজ টিপস)
দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভোগ
দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে সারাবছর অন্ন ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় ঘি ভাত, পাঁচ রকম তরকারি, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁꦏচ রকম মাছ, চাটনি, পায়েস এবং পাঁচ রকমের মিষ্টি। মায়ের ভোগে থাকে না কোনও প্রকার মাংস। মায়ের ভোগের দায়িত্ব🔥ে থাকেন মন্দিরের সেবাইতরা।
কালী পুজোর দিন দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ভোগ
কালী পুজোর সময় মায়ের ভোগ রান্না করা ছাড়াও দক্ষিণেশ♛্বরে♛ যে দর্শনার্থীরা আসেন, তাঁদের জন্যও ভোগ রান্না করা হয় আলাদা করে। বিশেষ অতিথিদের জন্য আলাদা করে পাঠানো হয় ভোগ।
(আরও পড়ুন: 🐬ভূতে ভালোবাসা? তেনাদের দেখতে চাইলে অবশ্যই ঘুরে আসুন বাংলার এই ভৌতিক স্থানগুলিতে)
ভোগের মেনু
✅গতবছর ভোগের মেনুতে ছিল ঘি ভাত, আলু ফুলকপির তরকারি, কমলা সন্দেশ এবং জাউ পিঠা। প্রায় ১২০০ জনের জন্য রান্না করা হয়েছিল গত বছর। এই বছর ভোগ বানানোর দায়িত্ব অনেকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অন্ন ও তরকারি ছাড়াও ভোগে থাকবে পোলাও ও ধোঁকার ডালনা।
ভোগের দায়িত্বে থাকেন কারা?
গতবছর থেকেই দক্ষিণেশ্বরে মায়ের ভোগ রান্না করার দায়িত্ব পেয়েছেন শুভজিৎ ভট্টাচার্য। দক্ষিণেশ▨্বরের অছি পরিষদের তরফ থেকে গত বছর যোগাযোগ করা হয় তাঁর সাথে। এই বছরও ভোগ রান্না করার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।