Sabarna Roychowdhury Kali Puja: মা কালীর মাহাত্ম্য🅷 ছড়িয়ে রয়েছে সারা বাংলা জুড়ে। দক্ষিণবঙ্ওগে তেমনই শোনা যায় পাতালভেদী দক্ষিণাকালীর কথা। রাজা সাবর্ণ তাঁর স্বপ্নে দেখা পেয়েছিলেন মায়ের। বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি কালীপুজো (Kali Puja 2024) হয়ে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম পাতালভেদী দক্ষিণাকালী। প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে একটি কাহিনি থেকে শুরু হয় তাঁর পুজো।
আরও পড়ুন - বৃন্দাবন থেকে রাশিয়া, ২০২৪-এ বারাসতের সেরা ১০ প🌜ুজো! না দেখলেই নয়
পাতালভেদী দক্ষিণাকালী
কথিত রয়েছে, প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে জয়নগরের ময়দা নামক একটি স্থানে পাতাল ফুঁড়ে দেখা দিয়েছিলেন দেবী। সেখানেই প্রতিষ্ঠা হয় মায়ে🎐র মন্দিরের। প্রতিষ্ঠা করেন রাজা সাবর্ণ রায়চৌধুরী। তখন থেকেই পূজিত হয়ে আসছেন মা।
বাণিজ্যে যাওয়ার পথে…
লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, জঙ্গলের পথ দিয়ে বাণিজ্যে যেতেন রাজা। নদীর ধারে সেখানেই ছিল একটি বকুল গাছ। গাছের ডালে একটি বালি🅺কাকে দোল খেতে দেখেন তিনি। রাজা মুগ্ধ হয়ে যান সেই দৃশ্য়ে। পরে যখনই তিনি ওখান দিয়ে যেতেন, খোঁজ করতেন সেই বালিকার। কিন্তু হাজার খোঁজ করলেও আর তাঁর দেখা পাননি।
আরও পড়ুন - গঙ্গা থেকে কাটাপ্পা! ২০২৪-এ ম♎ধ্যমগ্রামের সেরা ১০ পুজো, না দেখলে মিসꦕ করবেন
রাজার স্বপ্নাদেশ
এই ঘটনার কিছুদিন পর একটি স্বপ্নাদেশ পান সাবর্ণ রায়চৌধুরী। স্বপ্নে দেখতে পান ওই বকুল গাছের নিচেই রয়েছেন দেবী দক্ষিণাকালী। সেখান থেকেই দেবী পাতাল ভেদ করে উঠে আসবেন। এই স্বপ্ন দেখার পরেই দেবীর পুজোর তোড়জোড় শুরু করেন রাজা সাবꦍর্ণ। ওই স্থানেই একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন 🐻তিনি।
শিলা মূর্তি প্রতিষ্ঠা
পাতালভেদী দক্ষিণাকালীকে নিয়ে প্রচলিত আরেকটি কাহিনি অনুযায়ী, শিলা মূর্তিকে বহুবার তাঁর স্থান থেকে তোলার চেষ্টা করা হয়। মানুষ নয়, হাতি দিয়েও তোলার চেষ্টা করা হয় ওই শিলাকে। কিন্তু তাঁকে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়নি। পরে একদিন নির্দিষ্ট সময় নিজে থেকেই মাটি ভেদ করে উঠে আসে সেই শিলা মূর্তি। এই শিলা মূর্তিকেই ღপরে দেবীরূপে পুজো করা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, এই বক♏ুল গাছ এখনও রয়েছে মন্দিরের পাশে। দর্শনার্থীরা আজও পুজো দিতে গেলে এই গাছ প্রত্যক্ষ করতে পারেন।