Kojagori Purnima And Maa Tara Puja: শারদীয়া শুক্লা চতুর্দশী তিথি। এই তিথিতেই আবির্ভাব হয়েছিল ম♏া তারার। আর তাই এই দিন প্রতি বছরই তারাপীঠে ঢল নামে ভক্তদের। এই বিশেষ দিনে মা তাঁর গর্ভগৃহের বাইরে আসেন। বিশ্রাম মন্দিরে বসে সময় কাটান ভক্তদের সঙ্গে। ভোর থেকেই মন্দিরে উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়ে যায় তারাপীঠে। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হল না। সকাল থেকেই তারাপীঠে মায়ের মন্দিরে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। বিজয়া শেষ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ চলে আসেন মায়ের মন্দিরে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভিন রাজ্য়ের মানুষের উপস্থিতিও দেখা যায় এখানে। আবার পুজোর ছুটি কাটাতেও অনেকে তারাপীঠ এসে পৌঁছান। ফলে🅺 দুয়ে মিলে বীরভূমের এই তীর্থস্থানে এখন ভক্তের ঢল।
কোজাগরী পূর্ণিমা ও মায়ের আবির্ভাব তিথি একই দিনে
প্রসঙ্গত, তারা মায়ের আবির্ভাব তিথির সঙ্গে মিলে গিয়েছে কোজাগরী পূর্ণিমা। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি রাতে শুরু হলেও একই দিনে অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর পড়েছে এই দুই বিশেষ দিন। বুধবার ভোরে সূর্যোদয়ের পর শুক্লা চতুর্দশী তিথি মেনে মাকে গর্ভগৃহ থেকে বিশ্রাম মন্দিরে আনা হয়েছে। তবে বিশ্রাম মন্দিরে মায়ের বসার একটি বিশে🐷ষ রীতি রয়েছে। আসলে তারাপীঠের কিছুটা দূরেই রয়েছে মা মৌলাক্ষা মন্দির। তিনি তারা মায়ের ছোট বোন। তাই মাকে বসানোর সময় বোনের বাড়ির দ💦িকে মুখ করিয়েই বসানো হয়। মনে করা হয়, এতে মা তার বোনের সঙ্গে সারাদিন কথা বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন - Lakshmi Puja Timing: ক’টার মধ্যে সেরে ফেলতে হবে লক্ষ্মীপ꧟ুজো? কী বলছে পঞ্জিকামত
সারাদিন ধরে চলে পুজো
মাকে বসিয়ে সকাল সকাল জীবিতকুণ্ড থেকে জল এনে মায়ের স্নান করানো হয়। এর পর তাঁকে সাজানো হয় রাজবেশে। সারাদিন ধরে 🐓এই দিন মায়ের পুজো চলে। ভক্তরা এই দিন মায়ের পা স্পর্শ করে প্রণাম করার ও পুজো দেওয়ার বিশেষ সুযোগ পান।
গর্ভগৃহের বাইরে মাকে দর্শনের সুযোগ
গর্ভগৃহের বাইরে মাকে দর্শনের সুযোগ বছরে এই একটি দিনই হয়। মায়ের আবির্ভাব তিথির দিন। সারা দিন পুজো শেষে মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভগৃহে। সন্ধ্যার সময় এই রীতি পালন করা হয়। তব𝔉ে মায়ের আবির্ভাব তিথির দিন তাঁকে কোনও ভোগ নিবেদনের রীতি নেই। ফলে দেবীর কোনও অন্ন ভোগ হয় না এই দিন। একই কারণে এই দিন সেবায়েতরাও কোনও অন্ন গ্রহণ করেন না।