সাম্প্রতিককালে প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত চꦆিনির পরিমাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। বিশেষ করে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা করে সম্পূর্ণ বিপরীত রিপোর্ট পাওয়ার পর উদ্বেগ বেড়েছে। দেখা গেছে , একই পণ্য কোন চিনি ছাড়া বিক্রি হয় পশ্চিমের দেশ গুলিতে।শুধু চিনিই নয়, উপাদানের গুণমান, লেবেলিং স্বচ্ছতা এবং সামগ্রিক পুষ্টির মানগুলিতেও এই বৈষম্যটি পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: (লাফিয়ে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু! প্রতিরক্ষার জন্য এই নিয়মগ🐟ুলি মেনে চলুন)
এইচটি লাইফস্টাই♐লের সঙ্গে মুম্বাইয়ের মেটাহেল- ল্যাপারোস্কোপি এবং ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি সেন্টার, মুম্বাইয়ের সাইফি এবং অ্যাপোলো এবং নামাহা হাসপাতালের পরামর্শদাতা ব্যারিয়াট্রিক এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডাঃ অপর্ণা গোভিল ভাস্কর, একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ‘বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলি উচ্চ মানের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয় কܫিন্তু শুধুমাত্র ধনী দেশগুলিতে। এই ভেবে যে সেখানকার ক্রেতারা বেশি সচেতন ও ভালো উপাদানের বিনিময়ে যথেষ্ঠ অর্থ খরচ করতে প্রস্তুত। অপরদিকে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে সেটি হয় না। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হল শিশু এবং শিশুদের খাদ্যগুলি।’
ডাঃ অপর্ণা গভিল ভাস্কর আরও বলেন, ‘প্রায়শই উচ্চ-মানের, স্বাস্থ্যকর খাবারের আড়ালে বাজারজাত করা হয় এই অতিরিক্ত চিনি মিশ্রিত পণ্যগুলিকে। ব্যাপকভাবে প্রচার করা এই খাবার কিনে অভিভাবকরা বিশ্বাস করে যে তারা তা💖দের সন্তানদের জন্য উপকারী খাবারই কিনছেন। কিন্তু বাস্তবতা প্রায়শই বিজ্ঞাপনের থেকে অনেক দূরে থাকে। অনেক সময়, এই পণ্যগুলির লেবেল তাদের চিনি বা সংরক্ষণকারী সামগ্রী সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদান করে না, যা ক্রেতাদের অন্ধকারে ফেলে দেয়।উচ্চ চিনিযুক্ত পণ্যগুলির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের পরিণতিগুলি মারাত্মক।’
আরও পড়ুন: (ওবেসিটি তে আক্রান্ত মহিলারা শ🦂িকার হচ্ছেন বিভিন্ন হৃদরোগের, দাবি সম🙈ীক্ষায়)
২০০৩-২০২৩ সালের ২১ টি গবেষণার একটি মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ভারতে শৈশবকালীন স্থূলতার প্রবণতা ৮.৪% যেখানে অতিরিক্ত ওজনের শিশুদের সংখ্যা ১২.৪%। বিশ্বে শৈশবকালীন স্থূলতা বা ওবেসিটির হꦡারের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।শিশুদের বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং পানীয় সহ খাদ্যতালিকাগত কারণগুলির সাথে সরাসরি যুক্ত।
ডাঃ অপর্ণা গভিল ভাস্কর হাইলাইট করেছেন, 💫‘শৈশব স্থূলতা শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যের ফলাফলই না বরং পরবর্তী জীবনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে বিকাশের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়, য༺েমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং এমনকি নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার। ওবেসিটি মানসিক সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাস্থ্যগত প্রভাব ছাড়াও, অত্যধিক চিনির ব্যবহার আসক্তির অন্যতম কারণ হতে পারে, যা মারাত্মক ক্ষতিকারক।’
ডাঃ গভিল ভাস্কর জোর দিয়ে বলেন, ‘অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে গ্রাহকরা এই সমস্যাগুলি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। যখন ব্যক্তিরা বুঝতে পারে যে নির্দিষ্ট পণ্যগুলি তাদের বা তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য সহায়ক🌳 নয়, তখন তাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
শেষে তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যক।বিক্রেতারা স্বাস্থের চেয়ে ব্যবসাকে যাতে বেশি গুরুত্ব না দেয় 🧸সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। ক্রেতাদের হাতেই সবকিছু, তাই বড়ো ব্র্যান্ড হলেও তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারলে ﷺতবেই আমরা নিজেদের ও সন্তানদের সুস্থ রাখতে পারব। একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষত গড়ে তুলতে পারব।