আন্দামানের জারোয়া জনজাতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন রতনচন্দ্র কর। চিক💧িৎসার পাশাপাশি অস্তিত্বের সঙ্কটেও তাদের পাশে রয়েছেন🦹 তিনি। এই বছর তাঁকেই পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় কেন্দ্রের তরফে।
১৯৯৯ সালে জারোয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল হাম। অস্তিত্ব প্রায় সঙ্কটের মুখোমুখি ছিল সে সময় রতনচন্দ্র করের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচে ওঠা আন্দামানের এই জনজাতি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য মনো♛নীত করা হয়েছে জেনে বেশ খুশি তিনি। বাঙালি চিকিৎসক রতনচন্দ্র কর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপ💟াতালের প্রাক্তনী। তাঁর আশা, এই গল্প অন্য অনেক তরুণদেরও উৎসাহিত করবে। তাঁর কথা জানতে পেরে অনেকেই এভাবে মানুষের সেবায় এগিয়ে আসবে। পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে।
সম্প্রতি রতনচন্দ্র কর ব্যাঙ্গালোরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন একটি পুরস্কার পাওয়া সত্যিই বিরাট অভিজ্ঞতা। আমার ও আমার পরিবারের জন্য এই পুরস্কার অনেক বড় সম্মান। ৬৬ বছর বয়সি জানান, প্রথমেই জারোয়াদের ভাষা শিখে নিয়েছিলেন তিনি। ভাষাশিক্ষার মাধ্যমেই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন বাঙালি চিকিৎসক। মোটামুটি চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগেছিল এই ভাষা শিখতে। তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যেতে তাঁর ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় লাগে। এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৯০ কিমি দূরে কদমতলা হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। হাসপাতালটি ৭০০ বর্গকিমি জারোয়া অধ্যুষিত জঙ্গলের গভীরে ছিল। সেখানে কোনও নিরাপত্তা ছিল না তাঁর। বরং দোরে দোরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন তিনি। সেখানে বংশ পরম্পরায় চলে আসা ওষুধকে কখনও ছোট করেননি। বরং সেগুলিকেই প্রথমে গুরুত্ব দিতেন রতনবাবু। নিজের ওষুধকে বিকল্প হিসেবে চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতেন🐷।
এরপর ২০০৩ সালে তাঁকে পোর্ট ব্লেয়ার বদলি করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিয়মিত তিনি পৌঁছে যেতেন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে। ২০০৬ সালে তাঁকে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনিক বিভাগে ডেপুটি ডাইরেক্টর (জনজাতি কল্যাণ) করা হয়। ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নেইল দ্বীপে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ❀মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দাকে আন্দামান সবসময় ভালোবাসা আর উষ্ণতা দিয়েছে। এমনটাই জানালেন পদ্মশ্রী রতনচন্দ্র কর।