চন্দ্রকোনা পৌর এলাকারই অযোধ্যা🤡 প্রাথমিক বিদ্য😼ালয়ের শিক্ষিকা সবিতা পান। তাঁর পশুপ্রেমের কথা এলাকালাসীর কারও অজানা নয়। দীর্ঘ দিন ধরে একাধিক রাস্তার বিড়ালের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। নিয়ম করে প্রতিদিন তাঁদের তিনবেলা খেতেও দেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মিত্রসেনপুর এলাকার বাসিন্দা বছর ৪৮-এর সবিতা পান। স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার তাঁর। স্বামী নিমাই চন্দ্র পান পেশায় উকিল। আর তাঁর দুই ছেলেমেয়েই স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্কুলের চাকরি, পরিবার এবং সংসার সামলে এলাকার অলিগলি ঘুরে বেড়ানো ১৪ টি বিড়ালের যত্ন আর খাওয়াদাওয়া করান তিনি। তাঁর পশু প্রেমের সত্ত্বা এলাকার সকলেই জানেন। যেভাবে একটা বাচ্চাকে মা যত্ন করে রাখে ঠিক সেভাবেই এই রাস্তার বিড়ালদের ভালোবেসে আগলে রাখেন সবিতা দেবী। আরও পড়ুন: ভক্তকে আচমকা ঠাসিয়ে চড় মেরেছিলেন, ধর্ম𒁏েন্দ্রর আজব কাণ্ড ফাঁস করলে𓄧ন জনি লিভার
গত ৮-৯ বছক ধরে ওই বিড়ালগুলির যত্ন ক🧸রছেন সবিতা দেবী। সকালে পাড়ায় পাড়ায় মাছ বিক্রি করতে আসেন তুফান পাল। ওই মাছ বিক্রেতার প্রতিদিনের খদ্দের সবিতা দেবী। প্রতিদিন সকালে ওই মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে টাটকা মাছ খেয়ে দিনের শুরু হয় সবিতা দেবীর বিড়াল পরিবারের। সবিতা দেবীর দাবি অনুযায়ী, ওই বিড়ালগুলিকে প্রতিদিন টুকরো করা মাছ খাইয়ে যেতে হয় তুফান পালকে। সেই সমস্ত খরচা অবশ্য সমস্তটাই মিটিয়ে দেন সবিতে দেবী।
সকালে উঠে মাছ বিক্রেতার সাইকেল দেখলেই পিছু নেন সবিতা দেবীর বিড়ালগুলি। এরপর রীতিমতো মাছ বিক্রেতার সাইকেলের সামনে পথ আটকে সবিতা দেবীর উঠোন অবধি মাছ বিক্রেতাকে নিজেরাই নিয়ে যায় তাঁরা। সকালে সংসারের কাজ সামলে বিড়ালগুলির খাওয়া দাওয়া করিয়ে এরপর স্কুলে শিক্ষকতাꦐ করতে চলে যান সবিতা দেবী। স্কুল থেকে ফিরে দুধ ভাতের সঙ্গে কোলাকন্দ মাখা সন্দেশ আর ভাত মেখে থালা ধরে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ডাক দেন বিড়ালদের। ওরাও ছুটে ছুটে আসে খাবার খেতে। খাবার সেরে আবার পাড়ায় এদিক ওদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল দল।
রাꦗতে বিড়ালদের কখনও রুটি আবার কখনও ভাত খাওয়ান সবিতা দেবী। রাতের খাবার খেয়ে সবিতা দেবীর বাড়িতেই সোফায় টানা ঘুম দেয় তারা। যদিও এরা সবিতা দেবীর বꦏাড়ির কোনও পোষা বিড়াল নয়, সবকটাই পাড়ার অলিগলি ঘুরে বেড়ানো বেড়ালের দল। শুরুর দিকে একটা থেকে এখন সবিতা দেবীর বিড়াল পরিবারের সংখ্যা ১৪টা। সবিতা দেবীর পশু প্রেমে কোনও আপত্তি নেই তার স্বামী ও সন্তানদের। তারাও সঙ্গ দেন সবিতা দেবীর এই কাজে। চারিদিকে যখন পশুদের উপর একের পর এক অত্যাচারের ঘটনা উঠে আসছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সবিতা দেবীর এহেন পশুপ্রেমের গল্প যে কোনও পশুপ্রেমীর মন ভালো করে দেবে।